ঢাবি প্রতিনিধি
বললেন হাছান মাহমুদ
শেখ হাসিনা দেশে না এলে একাত্তরের ঘাতকরা দেশ চালাত
‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে যখন পদার্পণ করেন তখন দেশের পায়ে শিকল বাঁধা ছিল। একাত্তরের প্রেতাত্মারা তখন ক্ষমতায় ছিল। এমতাবস্থায় তার প্রত্যাবর্তন শুধু আওয়ামী লীগ নেত্রীর প্রত্যাবর্তন নয়, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও দেশের প্রাণ ভোমরার নিজ ভূমিতে আসা। তিনি দেশে না আসলে একাত্তরের ঘাতকরা এখন দেশ চালাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ সব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ জল, স্থল এবং মহাকাশ বিজয় করেছে। মহাকাশে আজ বাংলাদেশের পতাকা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, খুলনা নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করে কিভাবে সফল হওয়া যায় তার উপায় খুঁজুন। সফলতা পেলে আপনাদের অভিনন্দন জানাব। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা অদম্য সাহসিকতায় দেশকে এগিয়ে নিয়েই যাচ্ছেন।তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই আমরা আজকের বাংলাদেশকে দেখতে পাচ্ছি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে আপনাদের অস্তিত্ব নিয়ে আপনারাই দায়ী থাকবেন। তবে আপনার না আসলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংবাদ পাঠিকা রেহেনা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুগ্মসম্পাদক চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক ইঞ্জি. কুদ্দুসুর রহমান রচিত ‘জননেত্রী থেকে দেশরত্ন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
"