নিজস্ব প্রতিবেদক
লেখক শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দেশের বরেণ্য লেখক শওকত ওসমানের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৯৮ সালের এই দিনে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদবিরোধী এ লেখক পরলোকগমন করেন। তিনি তার লেখনীতে শোষিতের কথা বলেছেন। তার রচিত ‘ক্রীতদাসের হাসি’ সর্বকালের স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণজাগরণের দিশারী। তার বহুল আলোচিত ‘জননী’ উপন্যাসটি ইংরেজি ভাষায় অনুদিত হয়ে বিশ^সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে।
১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় শওকত ওসমানের জন্ম। তার আসল নাম শেখ আজিজুর রহমান। তিনি দেশদ্রোহী ও রাজাকারদেও বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছেÑ জননী, ক্রীতদাসের হাসি, সমাগম, চোরসন্ধি, রাজা উপাখ্যান, জাহান্নাম হইতে বিদায়, প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থের মধ্যে আছে জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প, মনিব ও তাহার কুকুর ইত্যাদি। স্মৃতিকথার মধ্যে রয়েছেÑ স্বজন সংগ্রাম, কালরাত্রির খন্ডচিত্র, অনেক কথন, গুডবাইল জাষ্টিক-মাসুদ, উত্তর পূর্ব, মুজিব নগর।
সাহিত্যকর্মে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শওকত ওসমান আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা দিবসসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক স্মরণসভার আয়োজন করেছে। বিকাল ৫টা অনুষ্ঠেয় স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন ভাষা সংগ্রামী ও রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিক। অংশ নেবেন ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, শওকত ওসমানের বড় ছেলে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. শওকত নবী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটুসহ বিভিন্ন বরেণ্য ব্যক্তিরা।
"