জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতীকী সিনেট অধিবেশন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যবিরোধী আওয়ামী পন্থী শিক্ষক ও সিনেটরদের আয়োজনে উপাচার্যের অ্যাক্টবিরোধী ও অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ‘প্রতীকী সিনেট অধিবেশন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতীকী অধিবেশনটি বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১টার দিকে শেষ হয়। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’র ব্যানারে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্তত ২০ জন সিনেটর অংশগ্রহণ করেন।
অধিবেশনের শুরুতে উপাচার্যের আসন গ্রহণের আগে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ প্রতীকী সিনেট অধিবেশনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এ সময় ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সিনেটের তলবি সভা ডাকার জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৪৬ জন সিনেট সদস্য উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন। সিনেট কার্যপরিচালনা বিধি অনুসারে চিঠি পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে সিনেটের তলবি সভা আহ্বান করার কথা। কিন্তু ৯৫ দিন পেরিয়ে গেলেও উপাচার্য সভা আহ্বান করেননি। তাই আজ এই প্রতীকী সিনেট অধিবেশন’। বক্তব্য শেষে প্রতীকী উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। প্রতীকী সিনেট অধিবেশনে প্রতীকী উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমান। এছাড়া প্রতীকী উপ-উপাচার্য এম শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. নজিবুর রহমান এবং রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন মো. শাহিদুর রহমান পরাগ।
অধিবেশনের প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতীকী উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার। এরপর প্রতীকী উপাচার্য স্বাগত বক্তব্য দেন। উপাচার্যের বক্তব্যে পরে শুরু হয় উপাচার্যের ভাষণের ওপর আলোচনা, প্রশ্ন ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। এতে প্রতীকী সিনেটররা ও প্রতীকী উপাচার্য অংশ নেন।
"