মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মনোহরগঞ্জে মাদরাসায় শিশু নির্যাতন : শিক্ষক গ্রেফতার
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শিশু নোমানকে বর্বর নির্যাতন করেছেন এক মাদ্রাসাশিক্ষক। এ ঘটনা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু আসলামের নজরে আসে। এদিকে ভাড়া করা হাফেজিয়া এই মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে।
এ কর্মকর্তা সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। এছাড়াও গতকাল শনিবার শিশুটির পিতাকে তার কার্যালয়ে ডেকে শিশুর লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন তিনি। শিশুর পিতা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় নাথেরপেটুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
গত শুক্রবার মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এমদাদ হোসেনকে লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের মান্দুয়ারা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার এই আসামিকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার বিপুলাসার নূরানী হাফেজিয়া ইসলামী একাডেমির এক শিশু ছাত্রকে দয়ামায়হীন ভাবে নির্যাতন করেন শিক্ষক এমদাদ হোসেন। শিশুটির নাম মোঃ নোমান। সে বিপুলাসার ইউনিয়নের কাঁচি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। বেশ কিছুদিন ধরে এই শিক্ষক শিশুটিকে আবাসিক হোস্টেলে রেখে শিক্ষা দিচ্ছিলেন। তখন তিনি শিশুটিকে এই নির্যাতন চালান। শিশুটির শরীরের মারের কালছে দাগ রয়েছে। এছাড়াও শিশুর দুই উরুতে বেতের আঘাত দেখতে পাওয়া যায়। শিশুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওই শিক্ষক শিশুটির গোপনাঙ্গে গরম পানি ঢেলেও নির্যাতন করে।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ওই শিশুকে নির্যাতিত অবস্থায় শিক্ষকের কাছ থেকে উদ্ধারের পর বার বার আমরা বলার পরও পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করতে রাজি হননি। গত বৃহস্পতিবার রাতে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করি। অভিযুক্ত শিক্ষক এমদাদকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
"