শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শ্রীমঙ্গলে বিপন্ন প্রজাতির বনরুই উদ্ধার
শ্রীমঙ্গলের লোকালয়ে ধরা পড়েছে বনরুই। গতকাল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছবপুর গ্রামের শিমুল দেব নামে স্কুলছাত্র এক সবজি খেতে জালের মধ্যে আটকে থাকতে দেখেন এই বনরুই। শিমুল আহত বনরুইটি জাল থেকে উদ্ধার করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তার পরিচর্যা করেন। স্থানীয়রা বলেছেন, এটি বিপন্ন প্রজাতির বনরুই।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তাদের সেবা আশ্রমে নিয়ে আসেন। বর্তমানে বনরুইটিকে সেবা ফাউন্ডেশনে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।
সজল দেব বলেন, উদ্ধারকৃত বনরুইটি বিপন্ন প্রজাতির। জালে আটকে থাকার কারণে পেছনের দুইটি পায়ে সামান্য ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলে শিগগিরই আবার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, বনরুই সাধারণত স্তন্যপায়ী সরীসৃপ বন্যপ্রাণী। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘চায়নিজ পেনগলিন’। শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রচুর বনরুই পাওয়া যায়। তবে উদ্ধারকৃত বনরুই বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির।
তিনি বলেন, মাছের মতো সারা শরীরে মোটা শক্ত আঁশ থাকায় এটি ‘বনরুই’ নামে পরিচিত। নির্জন বনাঞ্চলে ১০-১৫ ফুট মাটির গভীর সুড়ঙ্গ করে এরা বসবাস করে। এরা নিশাচর। গভীর রাতে খাবারের খোঁজে সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে বেরোয়। আবার দিনের আলোর আগেই সুড়ঙ্গের অন্ধকারে নিজেদের লুকিয়ে রাখে। ছোট ছোট পোকামাকড়, পিঁপড়ার ডিম ও উইপোকা খেয়ে এরা জীবন ধারণ করে। বছরে একবারই বাচ্চা দেয় বনরুই। এদের পায়ের নখ ও পাতা শক্ত প্লাস্টিকের মতো। নিশাচর বনরুই দিনে ও রাতে দ্রুত চলাচল করতে পারে।
"