লন্ডন প্রতিনিধি
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের অবদানের স্বীকৃতি
যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স (আরসিজিপি) নতুন এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীতে দেশটিতে সেবাদানকারী বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফ্যামিলি ডক্টরের শূন্যস্থান পূরণে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ সম্মান জানানো হয়। এ প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাইগ্র্যান্টস হু মেড দ্য এনএইচএস’।
১৯৮০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে এনএইচএসের অধীনে কর্মরত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় জন্ম নেওয়া চিকিৎসকদের সংখ্যা প্রায় ১৬ শতাংশে উপনীত হয়েছিল। তারা যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬ শতাংশের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন। কোনো কোনো এলাকায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের মধ্যে অর্ধেকই ছিলেন তারা।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে এসে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় তহবিলে পরিচালিত ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর স্বাস্থ্য সেবায় অবদান রাখা এমন হাজারো চিকিৎসকের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৪০ থেকে ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আরসিজিপির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা দেন দক্ষিণ এশীয় চিকিৎসকরা।
রয়েল কলেজ অব জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স-এর অধ্যাপক ময়ূর লাখানি বলেন, আজকের দিন যুক্তরাজ্যের সাধারণ প্র্যাকটিসের বিষয়টি একটি কঠিন কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। এর সঙ্গে উদ্ভাবন, আমাদের পূর্বসূরিদের সাহস এবং রোগীর ভালোভাবে পরিচর্যার মতো বিষয়গুলোও রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের ছাড়া যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সামগ্রিকভাবে টিকে থাকতে পারত না।
তিনি বলেন, শুধু চিকিৎসক হিসেবেই নয়, বরং নিজেদের পেশাগত প্র্যাকটিসের জায়গায়, সেখানকার মানুষের কাছে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। অনেকে অবিশ্বাস্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আমাদের প্রদর্শনীতে ইতিবাচক বিষয়গুলোই তুলে ধরা হয়েছে। রোগীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
"