রাজশাহী ব্যুরো
যুবলীগ নেতা সুমনের অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে তোলপাড়
এবার রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের অনৈতিক কাজ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর জনপ্রিয় নেতার পক্ষে বিতর্কিতরা ভোট চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন। শুধু রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যেও। এর আগে সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালীন রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি দফতরে দরপত্র জমাদানে বাধা, টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারদের অস্ত্রের মুখে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শিডিউল কেড়ে নেয়াসহ অসংখ্য অপকর্ম চালালেও তার বিরুদ্ধে দল থেকে উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো যুগ্ম সম্পাদক পদে আসীন হয়েছেন সুমন।
সূত্র মতে, গত ১২ এপ্রিল রাতে এক যুবকের সঙ্গে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমন অনৈতিক কাজের দৃশ্য অজ্ঞাত ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করে। এরপর ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় তোলপাড়। এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কয়েক লাখ টাকা এরই মধ্যে ব্যয়ও করেছেন সুমন। পরে বিপুল অঙ্কের টাকায় রফাদফা হয়ে ফেসবুক থেকে সেই দৃশ্য সরিয়েও নেয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে মহানগর যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতারা বলেন, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী ও মাদকসহ জনগণ এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কাজের সঙ্গে জড়িতদের সংগঠনের সদস্য করা যাবে না। পক্ষান্তরে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের এমন বিকৃত কর্মকান্ড আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদধারীর নেতার এমন কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এমন ঘৃণিত ব্যক্তিদের নিয়ে দল ভারি করার দরকার নেই। যাদের কারণে দলের বদনাম হয়, মানুষ কষ্ট পায়, ভয় পায় তাদের আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলে কোনো প্রয়োজন নেই বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের মুঠোফোনে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ‘ঘটনাটি গতকাল সোমবার শুনেছি, আমার মনে হয় সুমনের ঘটনা জানতে আর কেউ বাকি নেই। কিন্তু এ ঘটনা কোনো পত্রিকা না আসায় বা মামলা না হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তারপরও যাচাই-বাচাই করে সুমনের ঘটনার সত্যতা থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সুমনের বিরুদ্ধে সরকারি দফতরে দরপত্র জমাদানে বাধা, টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারদের অস্ত্রের মুখে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শিডিউল কেড়ে নেয়াসহ অন্যান্য অপকর্মের আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী।
"