রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
রাজৈরে শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের লাশ
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের গলায় গামছা পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কোদালিয়া বাজিতপুর এলাকায়। রানার পরিবারের অভিযোগ রানাকে শারীরিক ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে শ^শুরবাড়ির লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনয়নের কোদালিয়া বাজিতপুর গ্রামের আক্কাস মৃর্ধার ছেলে রানার সঙ্গে একই ইউনিয়নের সাতারিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর খন্দকারের মেয়ে মাফুজা খন্দকার পিপাসার বিয়ে হয়। তবে মেয়ের মা বিয়ের পরও ছেলেটিকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের সংসারে বর্তমানে একটি ফুটফুটে একবছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পিপাসা বর্তমানে অর্নাসে পড়ছে আর ছেলের তেমন কোনো পড়াশোনা নেই। এই নিয়ে শ^শুরবাড়ি বেড়াতে গেলেই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। গত শুক্রবার রাতে রানা শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে শনিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন দিয়ে রানার পরিবারকে জানায়, রানা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে রানার পরিবারের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে রানার লাশ উদ্ধার করে।
রানার পরিবার সন্দেহ করছে, রানাকে শারীরিক অত্যাচার বা শ্বাসরোধ করায় সে মারা যেতে পারে। এরপর হয়ত নাটক সাজাতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে। রানার মামি সুমা বলেন, ‘আমার ভাগনেকে গলায় গামছা পেঁছানো অবস্থায় নিচে পেয়েছি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। শ^শুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়েছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই।’ রাজৈর থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
"