সিলেট প্রতিনিধি
বলাৎকার করতে গিয়ে খুন ব্যবসায়ী তাজ!
সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন একাধিকবার বলাৎকারের চেষ্টা করেছে সুমন আহমদকে (২৩)। সেই ক্ষোভে সুমন ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে। গত শুক্রবার সুমনকে গ্রেফতার করা হলে, সে পুলিশকে এসব কথা জানায়। গত শুক্রবার ভোরে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে লামাকাজী এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে। সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাজ উদ্দিনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। এদিকে, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমনের মা লামাকাজি ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য কাঞ্চনমালাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুমনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা বলেন, হত্যার পূর্বে সুমনকে কয়েকবার বলাৎকারের চেষ্টা করেন নিহত ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন। সুমন কৌশলে তাদের হাত থেকে পালিয়ে যায়। তারপরও বেশ কয়েকবার তাকে বলাৎকারের চেষ্টা চলে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাজ উদ্দিনকে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, কিছুদিন পূর্বে সিলেট থেকে গাড়িযোগে আসার পথে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হয় সুমন আহমদের। এই পরিচয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যে মুঠোফোনে কথাবার্তা হত। এর কিছু দিন পর নিহত তাজ উদ্দিন ও তার আরো দুই সহযোগী মিলে সুমনকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। এতে সুমন তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এজন্য সে সিলেট নগরী থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে একটি ছোরাও ক্রয় করে।
ঘটনার দিন সকালে তাজ উদ্দিন সুমনকে ফোন করে বলেন, আমাদের এলাকায় ওয়াজ মাহফিল হবে তুমি চলে আস। ওই রাতে সে চলে আসে। এ সময় তাজ উদ্দিন তাকে নদীর পাড়ে যেতে বলেন। তার কথামতো সে নদীর পাড়ে গেলে সেখানেও তাকে বলাৎকার করার চেষ্টা করেন নিহত তাজ উদ্দিন। এ সময় সুমন ছোড়া দিয়ে তাজ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডে সে একাই ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন বিশ্বনাথ উপজেলাধীন মাহতাবপুর মৎস্য আড়ৎ বাজারের ক্ষুদ্র পান দোকানদার ছিলেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৩ মার্চ দুপুরে মৎস্য আড়ৎ বাজারে তিনি তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। পরদিন ১৪ মার্চ সকালে বিশ্বনাথের কেশবপুর গ্রামের সুরমা নদীর পাড় থেকে পেট কাটা অবস্থায় তাজ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি সিলেট সদর উপজেলার ফহেতপুর গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে।
"