টাঙ্গাইল ও সখিপুর প্রতিনিধি
হামিদুল হক বীরপ্রতীক আর নেই
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের বীরযোদ্ধা বীরপ্রতীক হামিদুল হক (৭৫) আর নেই। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহ... রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, লিভার, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
হামিদুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ এপ্রিল থেকে তাকে আইসিইউতে (ইন্টেনসেভ কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ১০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।
জানা যায়, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে ১৯৭১ সালের ৫ মার্চ ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন হামিদুল হক বীরপ্রতীক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুস সামাদের হলে উঠেন তিনি। আবদুস সামাদ তার বাল্যবন্ধু। হামিদুল হক ১৯৭১ সালে স্থানীয় কচুয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। দেশের অভ্যন্তরে টাঙ্গাইলে গঠিত কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দিয়ে বেশ কয়েকটি সম্মুখ সমরে অংশ নেন। পাশাপাশি কাদেরিয়া বাহিনীর সহকারী বেসামরিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য হামিদুল হককে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৪২২। ১৯৯০ সালে সখিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। তার বাবার নাম হাবিল উদ্দিন, মা কছিরন নেসা, স্ত্রী রোমেচা বেগম। তাদের চার মেয়ে, এক ছেলে। এদিকে, বীরপ্রতীক হামিদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় প্রমুখ।
"