রাজশাহী অফিস
পুঠিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা
নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি পরাজিত প্রার্থীর
সদ্য-সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হেরে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী এলাকাছাড়া হয়েছেন। ভয়-আতঙ্কে নিজ এলাকাতে ঢুকতে পারছেন না তারা। প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। গতকাল শনিবার রাজশাহী নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ করেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু হায়াত মোহা. আসাদুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। যে কারণে আতঙ্কিত হয়ে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিরাপত্তার অভাবে এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। তাই তাদের নির্বিঘেœ বাড়িতে ফিরে আসাসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসনের প্রতি জোর আবেদন করেন বিএনপির প্রার্থী হায়াত।
লিখিত বক্তব্যে আবু হায়াত মোহা. আসাদুজ্জামান আরো বলেন, নৌকার সমর্থক ব্যতীত কাউকে ভোট কেন্দ্রে যেতে না দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন শতাধিক মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। ১১টি কেন্দ্রের মাঝে ৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গণ্য করার আবেদন জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল এত কম ভোট পেত যার জন্য তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যেত বলেও উল্লেখ করেন হায়াত।
"