নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বললেন
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছতেই ‘ঐতিহাসিক স্থানে’ শিশুপার্ক
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছতেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্থানে (ঐতিহাসিক স্থানে) জিয়াউর রহমান শিশুপার্ক করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এ হীন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন; যা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘রক্তাক্ত ২৫ মার্চ : গণহত্যার ইতিবৃত্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এই ঐতিহাসিক উদ্যানেই আত্মসমর্পণ করেছিল। আর ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী এই ঐতিহাসিক উদ্যান থেকেই ভারতীয় সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি জানান, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর শিশুরা দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জানার জন্যই এই ঐতিহাসিক স্থানে আসবে।
মন্ত্রী জানান, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গণহত্যার ওপর ৯ ডিসেম্বর একটি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর তখন থেকেই ওইদিনটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ আলোচক ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, লে. জেনারেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক ও ২৫ মার্চ রাজারবাগের প্রতিরোধ যোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া বক্তব্য দেন।
"