সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে বজ্রপাত
গ্যাস লাইনের আগুনে পুড়ে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বজ্রপাত থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে দুই অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ফজলু মিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর রাতে উপজেলার লক্ষণাবন্দ এলাকায় লয়লু মিয়ার কলোনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী, দুইজন পুরুষ ও এক শিশু রয়েছেন। তারা লক্ষ্মণাবন্দ গ্রামের একটি কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। এদিকে, নিজে পুড়ে মরে স্বামীকে বাঁচিয়ে ভালোবাসার এ নজির স্থাপন করলেন এক নারী। নিহতরা হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের মছকন্দর আলীর স্ত্রী সেবু বেগম (২২), সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার খালেরমুখ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী তাসকিমা বেগম (৩০) তার শিশু সন্তান তাহমিদ (২), গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ নোয়াই গ্রামের সেবুল (১৬), ও অজ্ঞাত এক কিশোর (১৬)।
এলাকাবাসী ও দমকল বাহিনী সূত্র জানায়, রোববার ভোর রাতে বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাত হলে কলোনি বাড়ির সামনের গ্যাস রাইজারে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই কলোনিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায় মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ হন আরো একজন।
এদিকে, এ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান ঘোষণা দিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন। সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সিলেট দমকল বাহিনীর উপসহকারী পরিচালক দিনেমনি শর্ম্মা বলেন, আগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরের গ্যাস রাইজার বিস্ফোরিত হয়ে কলোনিতে আগুন ধরে যায়। আগুনে কলোনির দুইটি রুম পুড়ে ভস্মীভূত হয়। এ সময় রুমের ভেতর আটকা পড়ে পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতদের মধ্যে দুই নারীই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ফজলুল হক শিবলী বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিজে পুড়ে স্বামীকে বাঁচালেন স্ত্রী : শেবু বেগম। বয়স ২৮ বছর। স্বামীর প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন এই গৃহবধূ।
"