নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ মার্চ, ২০১৮

ইউএস-বাংলার ভাষ্য

ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত বীমা কোম্পানির তদন্তের পর

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানিগুলোর তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। সাধারণ বীমা করপোরেশন জানিয়েছে, নিহত প্রত্যেকের জন্য ২ লাখ ডলার (১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা চলছে।

গত সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে কয়েকজনকে এরই মধ্যে দেশে ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ছিল।

ইউএস-বাংলার যাত্রীদের বীমা করা ছিল জানিয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এম নাইম হাসান দুর্ঘটনার পর বলেছিলেন, সাধারণত দুই ধরনের বীমা থাকে। একটা প্যাসেঞ্জারের, অন্যটা প্লেনের নিজস্ব বীমা। ইউএস-বাংলারও আছে।

ইউএস-বাংলার মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম গতকাল শনিবার বলেন, দুর্ঘটনার পর বীমা দাবি করে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে আমরা চিঠি দিয়েছি, আন্তর্জাতিক অ্যাভিয়েশন বীমা করা হয়েছে ‘কে এম দাস্তুর’ নামের ব্রিটিশ ইন্স্যুরেন্সে। নিহত যাত্রীদের পরিবার ও আহত যাত্রীরা যাতে যত কম সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পান তার কাজ চলছে। তবে কত দিনের মধ্যে এবং কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে, তা বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদন প্রকাশের পর জানা যাবে।

কামরুল বলেন, আমরা বীমা কোম্পানিদের জানিয়েছি, তারা তাদের কাজ শুরু করেছে, এখন বাকি দায়দায়িত্ব তাদের। সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, কে এম দাস্তুর কোম্পানির পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা সাধারণ বীমা করপোরেশনও কাজ করছে।

তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বলা যাবে, নিহত যাত্রীদের স্বজন ও আহতরা কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই তিন প্রতিষ্ঠানেই তাদের বীমা করা আছে। তদন্তের পর প্রতিষ্ঠান তিনটি মিলে নিহত-আহত যাত্রী, পাইলট, কেবিন ক্রুসহ বিমানের ক্ষতিপূরণ দেবে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান কত শতাংশ ক্ষতিপূরণ দেবে সে বিষয়ে আমরা এখন নিশ্চিত নই। কারণ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি এর আগে আমরা হইনি। তবে আমরা এটুকু জানি, তিন প্রতিষ্ঠান থেকেই ক্ষতিপূরণ পাব।

সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, বিমান দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই আমরা সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় যোগাযোগ করেছি এবং প্রতিদিনই আমরা যোগাযোগ রাখছি। তদন্ত যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে আমরা নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করব।

নেপাল কর্তৃপক্ষের যদি গাফিলতি থাকে সেক্ষেত্রে সেখান থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে কিনাÑ জানতে চাইলে কামরুল বলেন, বাংলাদেশ, নেপাল ও আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন এবং বোমবারডিয়ার এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিকভাবে একটি তদন্ত পরিচালনা করছে। নেপাল থেকে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist