শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধুর সহচর আমান উল্লাহর দাফন সম্পন্ন
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমান উল্লাহ খানকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার জয়লা জুয়ান ডিগ্রি কলেজ মাঠে জানাজা নামাজ শেষে জয়লা জুয়ান গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া মাদরাসা মাঠে মরহুমের তৃতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা নামাজ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অংশ নেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, যুগ্ম-সম্পাদক রাগেবুল হাসান রিপু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আবদুস সাত্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটন সরকার, মরহুমের ভাই দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক চিফ রিপোর্টার আকরাম হোসেন খান, মেজর (অব.) জাফর উল্লাহ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবিব আম্বিয়া, শাহজামাল সিরাজী প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমান উল্লাহ খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। গত ১০ মার্চ (শনিবার) গুরুত্ব অসুস্থ অবস্থায় শজিমেকে ভর্তি হন তিনি। শজিমেকের নিউরো মেডিসিন বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তিনি কিডনি, হার্টসহ নানা ধরনের জটিল রোগে ভুগছিলেন।
আমান উল্লাহ খান স্বাধীনতার পর বগুড়া থেকে দেশের প্রথম আঞ্চলিক দৈনিক বাংলাদেশ পত্রিকা প্রকাশ করে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক ইত্তেফাকের বগুড়ার সংবাদদাতা ছিলেন।
তিনি ১৯৪১ সালে শেরপুর উপজেলার জয়লা জুয়ান গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বগুড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৭৩ সালে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ সালে বগুড়ার ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ ‘আজকের বগুড়া’ রচনা করেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমান উল্লাহ খান।
"