নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থ আত্মসাতে স্ত্রীর সাজা
প্রবাসী স্বামীর নামে ফ্ল্যাট কেনার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ মামলায় স্ত্রী ফারহানা রহমানকে (৩৬) দুই বছরের কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একমাসের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দোলোয়ার হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় ফারহানার মা রওশন আরাকে এক বছরের কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ফারহানা ও রওশন আরা রাজধানীর পল্লবীর সেকশন-৬, রোড নং ১৫, বাসা নং ১১/১ এর বাসিন্দা। মামলার অপর আসামি বাড়ির কেয়ারটেকার লিটনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আবু সাইদ মোহাম্মদ আসলাম ও আমিনুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় বাদীসহ বিভিন্ন সময়ে আটজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার বাদী জাহেদ আহমেদ বলেন, ফারহানা রহমানের সঙ্গে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ২০১১ সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমি ১৬ বছর বিদেশে ছিলাম। আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি আমাকে ফ্ল্যাট কিনে দেবেন বলে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার চাপ দেয়। আমি ২০১২ সালে বিদেশ থেকে পল্লবীতে শাশুড়ির বাড়িতে এসে অবস্থান নেই। এ সময় আমি তাদের ১৩ লাখ টাকা প্রদান করি। এরপর তারা আমার কাছে আরো ৭ লাখ টাকা দাবি করে। আমি তাদের বলি আমার কাছে এখন আর কোনো টাকা নাই। তখন আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে হয়ে বলে, টাকা না দিলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। তখন আমি বলি, তাহলে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাব। আমার স্ত্রী বলে, কে তোমার স্ত্রী। আমি এখন তোমার স্ত্রী না। চার মাস আগে আমি তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি। তুমি তোমার এলাকার পৌরসভায় খবর নাও। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলি, যদি তাই হয় তাহলে আমার টাকা-পয়সা, গহনা ফেরত দাও। জবাবে আমার স্ত্রী বলে, টাকা পয়সা তো পাবেই না বরং আর যদি আমার বাড়িতে আসার চেষ্টা কর তাহলে কেয়ারটেকার লিটনকে দিয়ে ঘাড় ধরে বের করে দেব। এরপর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভায় তালাকনামার বিষয় খবর নিলে তারা বলে, আমরা একটি তালাকনামার কপি রিসিভ করেছে।
"