কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী
কুড়িগ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক কলেজছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে সদর উপজেলা কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারের পাশে এ ঘটন ঘটে বলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন কবির জানান। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কাঁঠালবাড়ির হরিশ্বর কালেয়া গ্রামের মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন ও তারপদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মেয়েটি বলেন, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম গ্রামের কামরুল ইসলামের (২২) সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তারা পালিয়ে বিয়ে করে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ঢাকা যাওয়ার জন্য রাত সোয়া ৮টার দিকে দাশেরহাট বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত পেট্রোল পাম্পে অবস্থান নেয়। কামরুলের কুড়িগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসে চড়ে সেখানে আসার কথা ছিল জানিয়ে ওই কলেজছাত্রী বলেন, সেখানে ব্যাগসহ একা অবস্থান করতে দেখে পূর্ব থেকে অনুসরণ করা তিনটি মোটরসাইকেলে ছয় যুবক তাকে জোর করে তুলে পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে মোবাইলে বন্ধু স্বপন, পলাশ, মুকুল, লাইজুসহ আরো ৮ থেকে ৯ জনকে ডেকে আনে। ঘটনার পর সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে এবং রাত ২টার দিকে সংজ্ঞা ফিরলে রাস্তার পাশে এলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় বলে জানায় সে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন আমিনুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি মানসিকভাবে যাতে ভেঙে না পড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। সে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ আঘাত পেয়েছে।
পরিদর্শক রওশন কবির বলেন, এ ব্যাপারে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলার পর রাতেই মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন ও তারপদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
"