কক্সবাজার প্রতিনিধি
টেকনাফে বনে আগুন : কারণ তদন্তে কমিটি
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন সংরক্ষিত বনে আগুন লাগার কারণ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে অবস্থিত সংরক্ষিত বনের ৪০টি জায়গায় আগুন ধরে। সাড়ে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আনসার ও এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে এটি নাশকতার ঘটনা বলে ধারণা করছে প্রশাসন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আলী কবির জানান, আগুন লাগার কারণ তদন্তে সহকারী বন সংরক্ষক দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল হাই আল আজাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের টেকনাফ বিট কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কে বা কার আগুন লাগিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশাল পাহাড়ি এলাকার ৪০টি জায়গায় একসঙ্গে আগুন লাগানোর ঘটনাটি কোনোমতেই ছোট নয়।
আগুনে ২৮ হাজার একর সংরক্ষিত বনের মধ্যে ১২০ থেকে ১৩০ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আগুনে শুধু বনজ সম্পদের ক্ষতি আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা হিসাব করা হলেও পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যসহ সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ লাখ টাকার বেশি।
অল্প সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত হলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন এই বিট কর্মকর্তা। তবে বর্ষা মৌসুমের আগেই এ ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বনবিভাগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি। টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আলী কবির। এ সময় টেকনাফের ইউএনও ও ওসিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। ঘটনাস্থল-সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ‘নয়াপাড়া’ ও ‘লেদা’ রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ক্যাম্প দুটির দূরত্ব সীমান্তের নাফ নদী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার।
"