প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন
দেশে-বিদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ট্রাম্প ও পুতিনের
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘরে-বাইরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছেন। ওই প্রতিবেদনে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও। বিশ্বজুড়ে ‘বিদ্বেষমূলক’ রাজনীতি বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক এই সংস্থাটি। গত বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
মিসর, রাশিয়া, চীন, ফিলিপাইন ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পকে এক তালিকায় রেখেছে অ্যামনেস্টি। প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন থেকে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করল তারা। সংস্থার প্রধান সলিল শেঠি বলেন, ‘বিশ্ব রাজনীতিতে এখন প্রচুর বিদ্বেষ। খুব অল্প-সংখ্যক সরকারই মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করেন। আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, দুতার্তে, নিকোলাস মাদুরো, ভøাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিং লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন।’
ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞাকেও ‘স্পষ্টত একটি বিদ্বেষমূলক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি। ওই নিষেধাজ্ঞায় মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছিল। শেঠি বলেন, ‘বিদ্বেষের চরম উদাহরণ ছিল সেই পদক্ষেপ।’ ৪০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদেনটি বিশ্বের ১৫৯টি দেশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। শোষণের শিকার মানুষদের আন্দোলনের বিষয়টিও তুলে আনে অ্যামনেস্টি। সলিল শেঠি বলেন, ‘ট্রাম্পের নীতির কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন যুগে প্রবেশ করেছি আমরা।’ সামনের বছরগুলোতে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রস্তুত থাকার আহŸান জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিপীড়নের চিহ্ন সবখানে ছিল। বিশ্বের সরকারগুলো অধিকার নিয়ে সরব থাকাদের শক্ত হাতে দমন অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। এছাড়া পোল্যান্ডে নারী অধিকারের পতন ঘটেছে। অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব। আর ভেনেজুয়েলা থেকে তিউনিসিয়া পর্যন্ত সামাজিক অসন্তোষ বেড়েছে। জনগণ খাবার, পানি, স্বাস্থ্য ও আশ্রয়ের মতো মৌলিক অধিকারগুলোও পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়ায় সম্পদশালী দেশগুলোর নেতারা বৈশ্বিক শরণার্থী সমস্যা নিয়ে কথা বললেও তাদের ভাগ্যের প্রশ্নে অনুভ‚তিহীন থেকেছেন। অ্যামনেস্টি জানায়, গৃহযুদ্ধের পর ইয়েমেনের ২২ মিলিয়ন নাগরিকের মধ্যে ৭৫ ভাগের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। -বিবিসি
"