ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ১৪ বিঘা ভূমি উদ্ধার দাবি
জাতীয় মন্দির শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ২০ বিঘা দেবোত্তর ভূমির মধ্যে বেদখল হওয়া ১৪ বিঘা উদ্ধারে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্দিরে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায় এ দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘পাঁচ দশক ধরে সরকারের অবহেলা, বঞ্চনা আর উদাসীনতার কারণে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ভূমিই শুধু নয়, এর কাঠামোগত অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে।’ ভূমি দখলমুক্ত করার জন্য কয়েক দশক ধরে মোকদ্দমা চালানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে বেদখল ভূমি উদ্ধার করে মন্দিরকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, এই ১৪ বিঘা পরিমাণ ভূমি বর্তমানে আজম, মমিন মটরস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নাভানা রিয়েল এস্টেট, গফুর গং, অ্যাডভোকেট কামাল, জিন্নাহ ও আজিম গংসহ অন্যান্যদের দখলে আছে।
মন্দিরের ভূমির রেকর্ডের বৈধতা বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকেশ্বরী দেবীর প্রতিমা যেখানে স্থাপিত সেসব জায়গা ঘিরে ভাওয়াল রাজা শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুরের আমলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য ২০ বিঘা জায়গা দেবোত্তর ভূমি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়।
দেশে আনুষ্ঠানিক ভূমি জরিপ শুরু হলে মন্দিরের পুরো জায়গা দেবোত্তর ভূমি হিসেবে ঢাকাস্থ মৌজায় সিএস ৩০ থেকে ৪৩ নম্বর দাগে রেকর্ডভুক্ত হয় এবং নকশায় স্পষ্ট করে পাকা পিলারসহ সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এরপর পাকিস্তান আমলে অনুষ্ঠিত এসএ জরিপে লালবাগস্থ মৌজায় ৯৪-৯৭ ও ১০১-১১৭ নং দাগগুলো এসএ রেকর্ডভুক্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ, সহসভাপতি নির্মল কুমার চক্রবর্তী ও মিলন কান্তি দত্ত, সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, সাবেক সচিব শৈলেন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
"