সংসদ প্রতিবেদক
সংসদে পাটমন্ত্রী
সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না পলিব্যাগের নিয়ন্ত্রণ
সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় এবং অন্য কোনো বিকল্প না থাকায় নানা সরকারি উদ্যোগ সত্ত্বেও পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। তবে এ থেকে পরিত্রাণে পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. আবদুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বাংলাদেশে জলাবদ্ধতা তৈরির একটি মূল কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। এসব ব্যবহৃত পলিথিন সোয়ারেজ পাইপ, ড্রেন, নদী, নালা ইত্যাদিতে পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পাটমন্ত্রী বলেন, পলিব্যাগের বিকল্প তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমদ খানের তত্ত্বাবধায়নে পাইলট পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব পলিব্যাগ তৈরির উদ্দেশে প্রথমে পাট থেকে সেলুলুজ আহরণ করা হচ্ছে। ওই সেলুলুজকে প্রক্রিয়াজাত করে অন্যান্য পরিবেশবান্ধব দ্রব্যাদির সঙ্গে কম্পোজিট করে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়। উৎপাদিত ব্যাগে ৭০ শতাংশের বেশি পাটের সেলুলুজ বিদ্যমান। এ ছাড়া এতে অন্য কোন প্রকার অপচনশীল দ্রব্য ব্যবহার হয় না বিধায় এটি তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তিনি বলেন, আবিষ্কৃত এ ব্যাগের ভারবহন ক্ষমতা পলিথিনের প্রায় দেড়গুণ এবং এটি পলিথিনের মতোই স্বচ্ছ হওয়ায় খাদ্য দ্রব্যাদি ও গার্মেন্টস শিল্পের প্যাকেজিং হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।
"