সংসদ প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮

সংসদে মন্ত্রী

দেড় শতাধিক নতুন পাবলিক টয়লেট হবে ঢাকায়

রাজধানীতে জনসংখ্যার অনুপাতে পাবলিক টয়লেটের অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, এই সংকট কাটাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (উত্তর ও দক্ষিণ) মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় নির্মাণ করা হবে দেড় শতাধিক নতুন পাবলিক টয়লেট। এগুলোকে নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হিসেবে তৈরি করা হবে। গতকাল সোমবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি।

তার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, জায়গার অপ্রতুলতার কারণে নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণের স্থাপন নির্বাচন করা একটি প্রধান সমস্যা। বিদ্যমান টয়লেটগুলোর অধিকাংশ ইজারাদারের বিরুদ্ধে মামলা বা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় সেগুলো ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করতে দেরি হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তরে মোট ৩৭টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। প্রতিটিতে নারীদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে টয়লেটের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উন্মুক্ত স্থানগুলোর আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ৭৩টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে ডিসিসি দক্ষিণে মোট ৫৩টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। প্রতিটি পাবলিক টয়লেটে এ নারীদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে।

এ ছাড়া ডিসিসি দক্ষিণ এলাকায় ৫৯টি পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশন রয়েছে। ওই সব পাম্প ও স্টেশনের দুটি বাদে সবগুলোতে টয়লেট সুবিধা রয়েছে; যা জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারে। মন্ত্রী বলেন, ঢাকার এই অংশে করপোরেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ পাবলিক টয়লেট সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে এগুলো জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত নয়। তাই আরো ৪৭টি পাবলিক টয়লেট নতুনভাবে নির্মাণ ও ১৭টি বিদ্যমান টয়লেট সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী আরো জানান, দক্ষিণ সিটির ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠ উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এসব পার্ক ও খেলার মাঠেও মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসম্পন্ন পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য টিপু সুলতানের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি ও কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার হতে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না। এ অবস্থা হতে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পুকুর, দীঘি, জলাশয়সমূহ পুনঃখনন/সংস্কার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist