নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮

অর্থ আত্মসাৎ

কক্সবাজারের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আটটি খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সুপার ও অডিটরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমম কমিশন-দুদক। গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের এক বৈঠকে এসব মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

মামলায় কক্সবাজার জেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. এফতেখারুল আলম (অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সুপার আবদুচ ছবুর (বর্তমানে রামু উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস), সাবেক অডিটর নাছির উদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান (উখিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস) ও সাবেক অডিটর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীকে (অবসরপ্রাপ্ত) আসামি করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রণব জানান, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে জেলায় আটটি খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে দুই কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ৭২১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন, দুদকের অনুসন্ধানে যার প্রাথমিক প্রমাণও পাওয়া যায়। এসব অভিযোগে আটটি আলাদা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ এবং ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হবে বলে জানান তিনি।

যেসব খাতে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছেÑ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পৌরকর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে ৬০ লাখ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের পৌরকর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে পাঁচ লাখ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া বেতন পরিশোধ দেখিয়ে এক কোটি ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে সাত লাখ এক হাজার ৫৪৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এছাড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রীদের বৃত্তি ভাতা খাতে পরিশোধ দেখিয়ে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৯ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ১৭ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে এক লাখ আট হাজার ৪৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ দেখিয়ে ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর ও উপসহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist