সংসদ প্রতিবেদক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

সরকারি উদ্যোগে পেঁয়াজের মূল্য এখন স্বাভাবিক

মূল্য স্থিতিশীল করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নতুন পেঁয়াজ উৎপাদন শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে মূল্য ক্রমশ হ্রাস পেয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অন্যদিকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের মূল্য বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা রোধসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মোছা. সেলিনা জাহান লিটার প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ টন। স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাতকরণ ঘাটতি বাদে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। চাহিদার তুলনায় পিঁয়াজের দেশজ ঘাটতি প্রায় সাত লাখ টন। এ ঘাটতি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানির মূল উৎস ভারত। কিন্তু মে-জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাক্সিক্ষত বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। ফলে পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। ওই দামে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া বাংলাদেশেও এ বছর দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় স্থানীয়ভাবে মজুদকৃত পেঁয়াজের একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ আরো জানান, সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পেঁয়াজের বিপণন ব্যবস্থায় সরকারের নজরদারি বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ চালের বাজার স্বাভাবিক এবং জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ী নেতারা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং সচিবের সভাপতিত্বে মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি জানান, এসব সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, দেশের চাহিদা নির্ণয়, স্থানীয় উৎপাদন, মজুদ পরিস্থিতি, আমদানির পরিমাণ ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকেও আমদানি তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যালোচনা করে পণ্যভিত্তিক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist