নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বন্ধ হবে শিগগিরই!
অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট শিগগিরই বন্ধ হবে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ‘ফুড সাপ্লিমেন্ট বন্ধে করণীয়’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আনরেজিস্টার্ড বা অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন বন্ধ করতে হবে এবং চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে (ব্যবস্থাপত্র) ফুড সাপ্লিমেন্ট লেখা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। তার জন্য যা যা করা দরকার তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কাস্টমস, বিএমডিসি, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতিসহ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর একসঙ্গে কাজ করবে। এটা বন্ধ করতেই হবে।
এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, দেশের বাজারে বাইরের যেসব ফুড সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়, সেগুলো মিস ব্র্যান্ডেড ড্রাগ। এগুলোর মান একেবারেই ভালো না এবং ডিব্বা নামে পরিচিত। আবার দেশের সাপ্লিমেন্টগুলোর চেয়ে ওইসব সাপ্লিমেন্টের দাম কয়েকগুণ বেশি। সুতরাং মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, শুধু চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে লেখা বন্ধ করে দিলে তো ফুড সাপ্লিমেন্ট বন্ধ হবে না। এর জন্য সবাইকে এক হতে হবে এবং নিয়মনীতি করতে হবে। তাহলেই জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব ফুড সাপ্লিমেন্ট বন্ধ করা সম্ভব।
জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের (কাস্টমস নীতি) সচিব এম ফকরুল আলম বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের নীতি অনুযায়ী এসব সাপ্লিমেন্ট আমাদের ছাড় করাতে হয়। সুতরাং মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরকে চিঠি দিলেই আমরা কালই বন্ধ করে দিতে পারব। একটি সুন্দর নিয়ম হোক। এসব খারাপ বা অবৈধ প্রডাক্ট আসা বন্ধ হোক।’
র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র?্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘আমি প্রায় সময় এগুলো নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। এগুলোর অধিকাংশ ভুয়া। ডিব্বা ছাড়া আর কিছুই না। সুতরাং দ্রুত নিয়মনীতি হোক এবং দ্রুতই বন্ধ হোক।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজনীন ওয়ারেস বলেন, কীভাবে বন্ধ করা যায় সেটা নিয়ে সবাইকে আবার বসতে হবে। নিয়মনীতি ঠিক করতে হবে। তাহলে এসব বন্ধ হওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমি দ্রুতই সার্কুলার জারি করব। কোনো ফার্মেসির মালিক যদি এসব অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট রাখে, তাহলে এটা তার দায়ভার। আমরা ফুড সাপ্লিমেন্টের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমাইরা আক্তার ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া।
"