reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড

স্ট্রিট ফুডকে শুধু খাবারের কাতারে ফেললে ভুল হবে। কারণ স্ট্রিট ফুড ঐতিহ্যেরও একটি অংশ, যা যেকোনো দেশের ইতিহাস বা পরিচয়ের সঙ্গে মিশে যায়। আজ জেনে নিন পৃথিবীর বেশ কটি দেশের স্ট্রিট ফুডের নানা তথ্য-

হালো-হালো, ফিলিপাইন ‘হালো-হালো’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘মেশানো-মেশানো।‘ গ্রীষ্মকালে ফিলিপাইনের রাস্তাঘাটে বিক্রি হওয়া এই খাবারটি মূলত একটি ডেজার্ট আইটেম। ‘হালো-হালো’ খেতে যেমন মুখরোচক, দেখতেও তেমন লোভনীয়! নারিকেল, ফলমূল, সিরাপ, কিডনি বিন দিয়ে এটি বানানো হয় এবং টপিংস্ হিসেবে আইসক্রিম, বরফ কুচি ও ঘন দুধ দেওয়া হয়।

বাবল টি, তাইওয়ান

বাবল টি-কে পার্ল টিও বলা হয়। ১৯৮০ সালে তাইওয়ানের অধিবাসীরা এই বাবল টি-এর প্রচলন শুরু করে। ঠান্ডা চায়ে বিভিন্ন ধরনের ফল, কনডেন্সড্ মিল্ক, দুধ আর সঙ্গে চিবিয়ে খাওয়ার মতো এক রকম বল, টাপিওকা (সাগুর মতো) দিয়ে বানানো হয় এই বাবল বা পার্ল টি। গরমের দিনে তাইওয়ানের রাস্তায় চলতে-ফিরতে দেখা যায় এই পানীয়টি!

চুরোস, স্পেন

কুড়মুড়ে ভাজা মিষ্টিজাতীয় একটি খাবার চুরোস। এটি খালি খাওয়া যায়, দারুচিনি আর চিনি মিশিয়ে তাতে রোল করে এবং ঘন হট চকলেটে ডুবিয়েও খাওয়া যায়। বিশেষ করে মাদ্রিদে রাতের খাবারের পর স্ন্যাকস্ হিসেবে চুরোস বেশ জনপ্রিয়।

সিমিট ব্রেড, তুরস্ক

তুরস্কের খাবারের কথা শুনলেই প্রথমে মনে আসে কাবাবের কথা! কিন্তু কাবাব ছাড়াও তুরস্কের আরো একটি বিখ্যাত খাবার রয়েছে, যার নাম হলো সিমিট ব্রেড। তুরস্কের রাস্তাঘাটে ঠেলাগাড়িতে পাওয়া যায় এই ব্রেড-যা সকালের নাশতা হিসেবেই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। বড় রিং শেপ বা গোলাকারের এই ব্রেডের উপরের পুরোটায় তিল থাকে। খুব হালকা ধরনের এই ব্রেডটি চায়ের সঙ্গেই খাওয়া হয় বেশি।

বানি চো, দক্ষিণ আফ্রিকা

বানি চো মূলত ভারতের খাবার হলেও বর্তমানে এটি ডারবানের স্ট্রিট ফুড হিসেবে অধিক পরিচিত। হাফ লোফের মাঝখানে মসলাযুক্ত গরু অথবা খাসির মাংসের কারি দিয়ে তৈরি করা হয় এই স্ট্রিট ফুডটি।

টোস্টাডাস, মেক্সিকো

খাবারটি অনেকটা ভেলপুরির মতো। মচমচে ভাজা পুরির ওপর অ্যাভাকোডো আর চিংড়ির মিশ্রণ দিয়ে খাওয়া হয়। মেক্সিকোর রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাওয়া যায় এই টোস্টাডাস।

চেভিশে, পেরু

চেভিশেকে অনেকেই পেরুর জাতীয় খাবার হিসেবে ধরে নেয় আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর মূল উপকরণ হলো সামুদ্রিক কাঁচা মাছ। এর সঙ্গে যোগ করা হয় লেবুর রস, লবণ ও চিনি। এছাড়াও কেউ কেউ সুইট কর্ন আর মিষ্টি আলু দিয়েও খায় চেভিশে।

জার্ক চিকেন, জ্যামাইকা

জ্যামাইকান এই স্ট্রিট ফুডটির রেসিপি খুবই গোপনীয়। তবুও যতটুকু ধারণা করা যায় তা হচ্ছে আদা, পেঁয়াজ পাতা, থাইম, কাঁচামরিচ দিয়ে বানানো এক ধরনের মসলাযুক্ত ঝাল মুরগির আইটেম। জার্ক চিকেনের স্বাদ অনেকটাই ঝাঁঝালো।

সুপ্পলি, রোম

রোমের বেশ জনপ্রিয় এই খাবারটি দেখতে বলের মতো। বলগুলোর ভেতরে মোজ্জারেলা ও মুরগির মাংসের পুর দিয়ে বানানো হয় সুপ্পলি। রোমের রাস্তার পাশে পিৎজার দোকানগুলোতে বিক্রি হয় এটি। তবে দোকান ভেদে সুপ্পলির মসলা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

বান মি, ভিয়েতনাম

রুটির মতো দেখতে এই খাবারটির প্রচলন এসেছে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফ্রেঞ্চ কলোনি থেকে! পূর্ব এবং পশ্চিমা এই দুই ধরনেরই ধাঁচ রয়েছে খাবারটিতে।

গ্রিলড মিটবল, শসা, গাজরের আচার, ধনেপাতা, মুলা কুচি ও মেয়োনিজ দিয়ে

তৈরি হয় বান মি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist