কর্মজীবনের ব্যস্ততায় দুপুরের খাবারটি অবহেলায় পরে সব সময়ই। সময় স্বল্পতায় তখন পাকস্থলীতে জায়গা করে নেয় অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার। তাই অফিসে রওনা দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যের চিন্তা মাথায় রেখেই চটজলদি তৈরি করে নিতে পারেন দু-এক পদের তরকারি; যা আপনাকে দেবে পুষ্টিকর উপাদানের সঙ্গে যথাযথ তৃপ্তি। তবে কীভাবে? তা নিয়েই তো আজকের আয়োজন। রন্ধনশিল্পী তানজিন তিপিয়া

ডালকপি

উপকরণ : বড় ফুলকপি একটি, মসুর ডাল চার মুঠো, বড় পেঁয়াজ কাঁটা একটি, রসুন কোয়া কুচি দুটি, গোটা টমেটো একটি দুই ফালি করা, কাঁচামরিচ গোটা পাঁচটি, ধনেপাতা কুচি দুই মুঠো, তেল ১৫ টেবিল চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া দেড় চা চামচ, হলুদ ১/২ চা চামচ, পানি এক লিটার, লবণ এক চা চামচ।

প্রণালি : তেলে পেঁয়াজ রকুন ভেজে সব উপকরণ একত্রে দিয়ে ফুলকপি সেদ্ধ ও ঝোল শুকিয়ে এলেই দেখতে অপূর্ব ডালের ফুলকপি তৈরি।

বি.দ. : অনেক পুষ্টি ধারণ করে, ফাইবারে ভরপুর, অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভালো উৎস, ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে

মুলার তরকারি

উপকরণ : বড় মুলা একটি কাঁটা, মুগডাল চার মুঠো, বড় পেঁয়াজ কাঁটা একটি, রসুন কোয়া কুচি দুটি, কাঁচামরিচ গোটা পাঁচটি, ধনেপাতা কুচি দুই মুঠো, তেল ১৫ টেবিল চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া দেড় চা চামচ, হলুদ ১/২ চা চামচ, পানি এক লিটার, লবণ এক চা চামচ।

প্রণালি : তেলে পেঁয়াজ রসুন ভেজে সব উপকরণ একত্রে দিয়ে মুলা সেদ্ধ ও ঝোল শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে এলেই মুলার তরকারি তৈরি।

বি.দ. : জন্ডিস, মূত্রনালির রোগ, হাড়ের বাত, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ত্বক, ডায়াবেটিক, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভালো। ক্যানসার প্রতিরোধ ও শরীরের অনাক্রম্যতা জোরদার করে, তবে ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য থাকায় প্রস্রাব তৈরিতে উদ্দীপিত করে, কিন্তু অতিমাত্রায় খেলে পানি স্বল্পতা ‘ডিহাইড্রেশন’ ও নিম্নরক্তচাপ ‘হাইপোগ্লিসেমিয়া’ হয়। পাথুরি রোগী ও গর্ভবতীরা এ সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ডিমলাউ

উপকরণ : বড় লাউয়ের অর্ধেক/২০ টুকরা, ফাটানো ডিম দুটি, বড় পেঁয়াজ কাঁটা একটি, রসুন কোয়া কুচি দুটি, কাঁচামরিচ গোটা পাঁচটি, ধনেপাতা কুচি দুই মুঠো, তেল ১০ টেবিল চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া দেড় চা চামচ, হলুদ ১/২ চা চামচ, পানি এক লিটার, লবণ এক চা চামচ।

প্রণালি : তেলে পেঁয়াজ, রসুন ভেজে সব উপকরণ একত্রে দিয়ে লাউ সেদ্ধ ও ঝোল শুকিয়ে এলেই খেতে দারুণ ডিমলাউ তরকারি তৈরি।

বি.দ্র. : ওজন কমায়, হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, প্রস্রাব সমস্যায় শীতল প্রভাব যুক্ত করে, ঘুমের ব্যাধি দূর করে, পানি স্বল্পতাপূরণ, হৃদপিন্ড ভালো রাখে, যকৃতের প্রদাহ কমায়।

শিম বিচি-বেগুন

উপকরণ : শিম বিচি আধা কেজি খোসা ছড়ানো, বড় বেগুন কাঁটা একটি, বড় পেঁয়াজ কাঁটা একটি, রসুন কোয়া কুচি দুটি, গোটা টমেটো দুটি দুই ফালি করা, কাঁচামরিচ গোটা পাঁচটি, ধনেপাতা কুচি দুই মুঠো, তেল ১২ টেবিল চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া দেড় চা চামচ, হলুদ ১/২ চা চামচের একটু বেশি, পানি এক লিটার, লবণ এক চা চামচ।

প্রণালি : তেলে পেঁয়াজ রসুন ভেজে সব উপকরণ একত্রে দিয়ে সবজি সেদ্ধ ও ঝোল শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে এলেই দারুণ স্বাদের শিম বেগুনের তরকারি একদম তৈরি।

বি.দ্র. : হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, মলদ্বার-সম্বন্ধীয় ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। শিম বলিষ্ঠ খাবার এইভাবে পেট ভরা রেখে, অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বাঁচায়।

"