রান্নাবান্না ডেস্ক
মজাদার নিরামিষ
শরীর সুস্থ রাখতে হলে সুষম খাবার অবশ্যই খেতে হবে। কোন বয়সে কী খাওয়া যাবে, সেটা নিজেকেই বুঝতে হবে। কারণ, একই হাড়ির খাবার খেয়ে কেউ শরীর গড়ে আর কেউ ভেঙে পড়ে! যাই হোক, চলুন আজ একটা সহজ এবং মজাদার নিরামিষ রান্নার রেসিপি জেনে নেই, যা প্রায় সবাই খেতে পারবেন। আজকের এই নিরামিষ রান্নায় মুগের ডাল ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মুগ ডালের ঘ্রাণ বের করে আনতে, রান্নার আগে সামান্য ভেজে নিতে হবে। ভেজেই পানিতে দিয়ে ধুয়ে নিয়ে রান্না করতে হয়।
পরিমাণ ও উপকরণ
কয়েক পদের সবজি, যেমন একটা ফুলকপি, একটা বেগুন, পুরো দুই আলু, দুইটা টমেটো। হাফ কাপ মুগের ডাল। পেঁয়াজকুচি হাফ কাপের কম। রসুন বাটা এক টেবিল চামচ। মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ। হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ। কয়েকটা এলাচ। কয়েকটা কাঁচামরিচ। লবণ পরিমাণমতো। তেল হাফ কাপ। ধনিয়া পাতার কুচি, একটু বেশি হলেই ভালো।
প্রস্তুত প্রণালি
সবজিগুলো কেটে এবং মুগের ডাল সামান্য ভেজে পানিতে ধুয়ে একসঙ্গে রেখে দিতে পারেন। আলাদা রাখলেও দোষ নেই। এবার মূল রান্নায় চলুন।
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে এলাচ, পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাজুন। এরপর একে একে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়ে এক কাপ পানি দিন এবং এরপর মরিচ ও হলুদ দিন। তবে তেল ওঠা না পর্যন্ত নাড়িয়ে ভাজুন। এর মধ্যে কয়েকটা কাঁচামরিচ দিয়ে দিতে পারেন। আগুন মধ্যম আঁচে থাকতে হবে। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই তেল উঠে যাবে। এবার সবজিগুলো ও মুগের ডাল দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে কয়েক মিনিট রাখুন। এবার এক কাপ পানি দিয়ে দিন, কিন্তু পানি কিছুটা কম দেওয়াই শ্রেয়। এবার ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে আগুনের আঁচ কমিয়ে মিনিট ১০-১৫ রাখুন। মাঝে উলটে একবার নাড়িয়ে দিতে
পারেন, তবে সাবধানে যেন ফুলকপি ভেঙে না যায়। শেষে লবণ দেখুন। ঝোল তেমন না রাখতে চাইলে আগুন বাড়িয়ে দিতে পারেন। এবার ধনিয়া পাতার কুচি ছিটিয়ে দিন, ব্যস হয়ে গেল মজাদার সবজি নিরামিষ। গরম
গরম পরোটা কিংবা সাদা ভাতের সঙ্গে
খেতে পারেন।
"