কে এম রুবেল, ফরিদপুর
ফরিদপুরে ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
রোধ করতে পারে পেঁয়াজ আমদানি
ফরিদপুর জেলার চলতি রবি মৌসুমে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের ভাল মূল্য পাওয়া কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। এর ওপর ভর করে এখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী না করার দাবী জানিয়েছেন কৃষকেরা। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, পেঁয়াজ আবাদ করে কৃষকেরা বাপক লাভবান হয়েছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় অল্প দিনের মধ্যে পেঁয়াজের মূল্য কমে আসবে এবং ভোক্তারা উপকৃত হবে।
ভাল ও উন্নত জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য খ্যাত ফরিদপুর জেলায় মুড়িকাটা, হালি ও দানা এই জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। চলতি বছরের দুইদফা বন্যায় ক্ষতির পর এবছর জেলার সদর উপজেলা, সালথা, ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় কৃষকেরা অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে আশ্বনি মাসের শেষ দিক থেকে ব্যাপক ভাবে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। পেঁয়াজ আবাদের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় কৃষকেরা এখন খেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছে।
সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকনুর রহমান তুহিন ম-লসহ কৃষকরা জানান, নতুন পেঁয়াজ উঠায় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী না করলে ফরিদপুর অঞ্চলের চাষীরা অনেক লাভবান হবেন।
কৃষকরা জানায়, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর এক বিঘা জমির উৎপাদিত পেঁয়াজ কৃষকরা ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা র্পন্ত বিক্রয় করতে পারবে বলে জানান। বর্তমানে কৃষকেরা কেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রয় করছেন।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায় চলতি বছর ফরিদপুর জেলায় ৩৫হাজার কেক্টোর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টোর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ আবাদ হয়েছে।
এদিকে নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক বলেন, আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে মুড়ি কাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। চাষীরা এখন পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের শাই (কালি) বিক্রয় করে ভাল দাম পাচ্ছে। বর্তমানে চাষীরা এক কেজি পেঁয়াজ ১০০টাকা ও এক কেজি কালি ৩০ টাকা বিক্রি দাম পাওয়া খুশি চাষীরা।
ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, আগাম আবাদ করা ১ কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকরা ৫-৬ টাকা খরচ করে ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছেন। সমস্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কমে আসবে এবং ভোক্তারা উপকৃতহবে।
"