অনিরুদ্ধ অপু, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)
দখল
রাঙ্গুনিয়ায় বেদখল হচ্ছে পাউবোর হাজার কোটি টাকার জমি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান বাণিজ্যিক এলাকায় চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক এবং চন্দ্রঘোনা ফেরী সড়ক পরিবেষ্টিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হাজার কোটি টাকার প্রায় ৩০ একর জমি ও জলাশয় বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সড়কের পাশে জলাশয়ের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ৩০-৩৫টি দোকান, ঝুপড়িঘর ও অবৈধ স্থাপনা। মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হক জানান, পাউবোর কাপ্তাই সেকশন অফিস সংলগ্ন এসব সম্পদ লুঠপাট হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে অফিস ভবনও বেদখল হওয়ার আশংকা রয়েছে। অপরিকল্পিত স্থাপনায় চন্দ্রঘোনা ফেরি সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওয়ান ইলেভেনের সময়ে সরকারি এই জলাশয় এবং তীরের বিস্তীর্ণ বেদখলি জমি উদ্ধার করে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের হেফাজতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এর কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করেননি। ফলে ভূমিদস্যুরা পুনরায় দখল করে নেয় পাউবোর মূল্যবান এই জমি। বর্তমানে দখলে থাকা জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে জলাশয় হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরি রোডের পাশে সারিবদ্ধ দোকানের পিছনে বিস্তীর্ণ জলাশয় কর্ণফুলী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি এনে ভরাট করা হয়েছে। জানা গেছে, এখানে রাইস মিল স্থাপন করা হবে। কোদালা বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে মাটি এনেও রাতারাতি জলাশয় ভরাট করাও তৎপরতা দেখা যায়।
রাঙ্গুনিয়া ইউএনও মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, লিচু বাগানস্থ পাউবো জলাশয়ে অভিযান চালিয়ে স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা দিয়ে নির্মাণসমাগ্রীও জব্দ করা হয়েছে। এখানে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।
লিচুবাগানস্থ পাউবো সেকশন অফিসের সহকারী ইকবাল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম ডিভিশন-১ এর অধীনে জলাশয় এবং ব্রিক ফিল্ডের জায়গা। দেখভালের দায়িত্ব থাকলেও আমাদের কথা কেউ শুনে না। অফিসে যাতায়তের রাস্তা জবর দখল করে গোয়াল ঘর বানানো হয়েছে। আমাদের আপত্তির তোয়াক্কা করেনা জবর দখলকারীরা। কাপ্তাই পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়–য়া বলেন, প্রশাসন আমাদের সহায়তা করেন, আবার জবর দখলকারীদেরও সহায়তা দিয়ে থাকেন। তাই পাউবোর সরকারি জায়গা সংরক্ষণ করা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিচু বাগানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তির পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্যসংশ্লিষ্ট ভুমি অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন।
"