আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
২৩ জন শহীদের আদমদীঘি মুক্ত দিবস আজ
মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে গেরিলা আক্রমণে পর্যুদস্ত পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আদমদীঘি থানা সদরকে শক্রমুক্ত ঘোষণা করেন। উপজেলায় শহীদ হন ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা।
আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার বৃহৎ রেল জংশন ছিল পাক হানাদারদের শক্ত ঘাঁটি। এই ঘাটি থেকে পাক হানাদাররা গোটা উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতো। পাক হানাদার, মিলিশিয়া বাহিনী এবং দেশীয় দোসর রাজাকারদের পাশাপাশি অবাঙালি বিহারীদের অত্যাচার ছিল অবর্ণনীয়। মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্বিচারে মানুষ হত্যায় মেতে ওঠে পাক হানাদাররা। সান্তাহার শহর ছিল বিহারীদের দখলে। মুক্তিযদেবধর ৯ মাস এ শহরে কোন বাঙালিকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
গেরিলা আক্রমনে দিশেহারা হয়ে ১২ ডিসেম্বর ভোর হতে পাক হানাদার বাহিনী আদমদীঘি সদর হতে পালাতে শুরু করে। বিজয় পতাকা উত্তোলন করে আদমদীঘিকে শত্রুমুক্ত এলাকা ঘোষণা করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
"