শাহ আলম, খুলনা
মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাড়ছে মরিচ-পেঁয়াজের দাম
সবজির দাম নাগালে থাকলেও কাঁচা মরিচ আর পেয়াজের ঝাঁজ বেশি। কদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা। কৃষক এবং ভোক্তার মধ্যবর্তী হাত ঘুরলেই বাড়ছে দাম। এ অবস্থায় বাজার তদারকির দাবি সাধারণ ভোক্তাদের। এ দিকে, বাজার মনিটরিং কমিটির পূর্বে সিদ্ধান্ত মতে আজ মঙ্গলবার বাজার সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিয়ে সভা এবং বাজার মনিটরিংয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকালেও তা নেওয়া হয়নি।
ডুমুরিয়ার বরাতিয় এলাকার কৃষক বাসুদেব দাস বলেন, একজন কৃষক দাম পায় কম। কিন্তু বড় আকারের লাভ করে যায় ফড়িয়া বা আড়ৎদার। আমরা গতকাল প্রতিকেজি বেগুন ৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাধাকপি ৩০ টাকা, সালগম ৩০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পেয়াজের কলি ৭০ টাকা, শিম ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখো গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দামের ভিন্নতা। কাঁচা মরিচ ১শ’ ৪০ থেকে ১শ ৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১শ’-১শ’১০ টাকা, পেঁয়াজ আমদানীকৃত ৮০ টাকা, বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, নতুন আলু ৫০-৫৫ টাকা, পুরনো আলু ১৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, শসা ৩০-৫০ টাকা, লাল শাক ২০-৩০ টাকা, পালং শাক ৪০, টমেটো ৮০-১০০ টাকা টাকায় বিক্রি হয়েছে স্থানীয় বাজারে।
নগরীর নিউমার্কেট এলাকার মোঃ রবিউল ইসলাম, শাহানা বেগম বলেন, বাজার তদারকি থাকলে এমন দাম বাড়তো না। কোন পণ্য এক হাত থেকে আরেক হাতে গেলেই দাম বাড়ছে। এর একটি প্রতিকার হওয়া দরকার।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রুবেল হোসেন, মো. ফারুক হোসেন, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজারের নজরুল ইসলাম জানান, আমরা যেমন ক্রয় করি তেমন বিক্রি করি। তবে সামান্য লাভ রাখি।
কেসিসি পাইকারী কাঁচা বাজার কল্যাণ সমিতির সভাপতি শেখ মো. নজরুল ইসলাম জানান, এলসি’র মাল বাজারে ঢুকছে কম। ভারতেও পিয়াজের দাম বাড়তি রয়েছে। কিছুদিন আগের বৃষ্টির ফলে কাঁচা মরিচ আর পেয়াজের দাম বেশি। তবে সকল ধরণের সবজির দাম কমতি রয়েছে।
কেসিসি বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি রাবেয়া ফাহিদ হাসনা হেনা বলেন, বাজারের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
"