আশরাফুল আলম, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট
কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন আদায় করা হচ্ছে চাঁদা
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়েই সারা দেশের যেকোন পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে। এতে পিছিয়ে নেই রাজনৈতিক দলের নেতারা। মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বিপণি বিতান। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও এসব জায়গা দখলমুক্ত করতে পারেনি। যার ফলে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্ট হচ্ছে এই মহাসড়কে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে ৫ শতাধিক অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে। কাচঁপুর, মদনপুর, কেওঢালা, দড়িকান্দি, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও মেঘনা টোলপ্লাজাসহ বিভিন্ন স্পটে ফলের দোকান, কাপড়ের দোকান, খাবার হোটেল ও চা-পান, সিগারেটের টং দোকান অবৈধ দোকান গড়ে তুলেন অবৈধ দখলদারেরা। বিভিন্ন স্পটে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নামদারী নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন। এমনকি মহাসড়কের পাশে কাচঁপুর সোনাপুর এলাকায় অবৈধভাবে যুবলীগের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্টানে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বিপণি বিতান। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও এসব জায়গা দখলমুক্ত করতে পারেনি। যার ফলে এই মহাসড়কে প্রতিদিন কম বেশী যানজট লেগেই থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত সময়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপার্শ্বের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ অসাধুচক্র। এই টাকার একটি অংশ যায় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের পকেটে ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে। এর পাশাপাশি এই সব অবৈধ স্থাপনায় বিভিন্ন অসামাজিক, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকা- সংঘটিত হচ্ছে। জনদূর্ভোগ লাগবের পাশাপাশি ও যানজট নিরসনে তাই অনতিবিলম্বে সড়ক ও জনপদের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর ইসলাম জানান, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কয়েকদফা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আবারো কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত মহাসড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের (সওজের) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান ফারহান জানান, মহাসড়কে যান চলাচলে যাতে কোন বাধার সম্মুখীন না হয় সে জন্য মহাসড়কের পাশ থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা আবারো উচ্ছেদ করা হবে।
"