আব্দুল আলীম, নারায়ণগঞ্জ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর আবর্জনার স্তূপ
নারায়নগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের একাংশ দখল করে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে রাস্তা সরু হয়ে বিভিন্ন পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র দুর্গন্ধ ও যানজটের কারনে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনের চালক যাত্রী ও পথচারীদেন।
গত বুধবার দুপুরে চিটাগাংরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, প্রায় ছয় মাস ধরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হোটেল, ফল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ ময়লা আবর্জনা মহাসড়কের উপর ফেলে রেখে বড় স্তুপের সৃষ্টি করে রেখেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী একাধিকবার ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ করলেও ব্যবসায়ী ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা শুনেনি। তারা রাতের আঁধারে আবর্জনা ফেলে মহাসড়কের ঢাকা-চট্রগ্রাম রোডের দক্ষিণ পার্শ্বের প্রায় অর্ধেক অংশ দখল করে ফেলেছে। সড়কটি দেখা শুনার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
চিটাগাং রোডের (শিমরাইল) বাসিন্দা ও ব্যবসায়ি শাহজাহান জানান, সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের উত্তর পার্শ্বে মহাসড়কের উপর এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে মহাসড়ক দখল করে ফেলা কোন সভ্য সমাজের মানুষ মেনে নিতে পারে না। মহাসড়কের উপর ময়লার স্তুপ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গন্ধ সহ্য করে আমাদের পথ চলতে হচ্ছে। সওজ এর কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় এসব কর্মকা- হলেও রহস্যজনক কারণে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
চিটাগাংরোড এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী রহিম ও ফল ব্যবসায়ী মিলন বলেন, কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা না থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে এখানে ময়লা ফেলছি। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা মহাসড়কের উপর ময়লা ফেলে মহাসড়ক দখল করে ফেলছে। এ ব্যাপারে নারায়নগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী অলিউর রহমান জানান, মহাসড়কের উপর ময়লা আবর্জনা ফেলায় পথচারীদের চলাচল ও যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"