জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
জীবননগর হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় করা হলেও উদ্বোধনের অভাবে নতুন ভবনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। যার ফলে সীমিত আসনে বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাপাতালের কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের এ পরিস্থিতি দেখে অনেক রোগীর পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে জীবননগর শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অতীতে ৩১ শয্যায় ছিল কিন্তু বর্তমান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যের একান্ত প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতিত্বে এবং উপজেলার জনসংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করে ৫১ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই গত দুই বছর আগেই হাসপাতালের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র হাসাতালের আসবাসপত্র সরকারিভাবে না আসায় ৫১ শয্যার হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়নি। যতটুকু আসন আছে তার দ্বিগুণ রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব রোগীর সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরা থাকায় হাসপাতালের পুরো ওয়ার্ডে মানুষের ভিড় বেড়ে গেছে। অনেক রোগী আছে বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে অবস্থান করছে।
জানা গেছে, আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহে ঠা-াজনিত রোগে ৩৫ ুজন শিশু ও বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যত শীত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই ঠা-াজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে রোগীরা ওষুধ না পাওয়ায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনছে বলে রোগীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। শীতজনিত রোগের মধ্যে শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানি, অ্যাজমা, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হেদায়েত বিন মাহমুদ সেতু বলেন, হাসপাতালে ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে। বিশেষ করে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
"