জুয়েল রানা লিটন, নোয়াখালী
হাতিয়ার লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ
দ্বীপবেষ্টিত হাতিয়া উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে হচ্ছে সি-ট্রাক। এ ছাড়া শীত মৌসুম অর্থাৎ নদী শান্ত থাকলে মাঝারি আকারের ট্রলার ও স্পিড বোট যাত্রী বহন করে। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময় বর্ষা কিংবা নদী অশান্ত থাকলে যাত্রীরা সি-ট্রাকের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকে।
হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ পন্টুন স্থাপন করলেও নলচিরা ঘাটে পন্টুন স্থাপন করা যাচ্ছে না। হাতিয়া উপজেলায় যাতায়াতকারী লক্ষাধিক যাত্রীর নিত্যকার দুর্ভোগ। নলচিরা নদীঘাট থেকে সি-ট্রাকে ওঠানামা করতে গিয়ে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। আবার বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে সমুদ্র উত্তাল থাকলে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এটাই হচ্ছে হাতিয়া দ্বীপে যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগের চালচিত্র। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সি- ট্রাক এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, নলচিরা ঘাটে পন্টুন স্থাপনের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ প্রকৌশলীরা একাধিবার নলচিরা ঘাট ও তৎসংলগ্ন এলাকার অবস্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তারা নলচিরা ঘাট এলাকায় উত্তাল ঢেউ তীব্র স্রোতে প্রত্যক্ষ করেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নদীর ঢেউ ও তীব স্রোত বাহিত এলাকায় পন্টুন স্থাপন নিরাপদ নয়। জোয়ার ও স্রোতের তোড়ে পন্টুন হেলে পড়া কিংবা জোয়ারে ভেসে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নলচিরা ঘাটে পন্টুন স্থাপন সম্ভবপর নয় বলে প্রকাশ। হাতিয়ার কয়েকজন যাত্রীর সাথে আলাপকালে তারা প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, চেয়ারম্যান ঘাটের চাইতে নলচিরা ঘাট বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সাগরের জোয়ার হাতিয়া দ্বীপের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে নলচিরা ঘাট অংশে প্রথমে আঘাত করে। এতে করে বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তাল থাকার পাশাপাশি ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জমিজমা মেঘনায় বিলীন হয়। এক কথায় নলচিরা ঘাট এলাকা জোয়ার ও ভাটার সময় ঢেউ ও স্রোত থাকে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস জানান, নলচিরা ঘাটের অবস্থান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিআইডব্লিউটিএ কর্মকার্তারা কয়েকবার এলাকাটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু ঝুঁকি থাকায় পন্টুন স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, হাতিয়া দ্বীপ ভাঙনরোধে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ৮ কিলোমিটার এলাকায় ব্লকবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে ২টি ডিপিপি প্রস্তুত ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমাণ রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে। এতে করে হাতিয়া দ্বীপের উত্তরাঞ্চল নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে, অপরদিকে হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।
"