ভোলা প্রতিনিধি

  ২০ নভেম্বর, ২০১৭

ভোলা-ঢাকা নৌরুটে রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবিতে মামলা

ভোলা-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী সাত যাত্রীবাহী লঞ্চের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভোলা-ঢাকা নৌরুটে রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার দুপুরে লঞ্চযাত্রী ও বিশিষ্ট ঠিকাদার রুহুল আমিন কুট্টি বাদী হয়ে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আখতারুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদিগণের বিরুদ্ধে আদালতে তলব করে কারন দর্শানোর নোটিশ জারির আদেশ জারি করেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী (এপিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম মোর্শেদ কিরন তালুকদার জানান, ভোলা-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চের রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা দীর্ঘদিন ধরে রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন আমলে নেননি প্রভাবশালী লঞ্চ মালিকরা। সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে রোটেশনের মাধ্যমে ভোলা-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চালাচ্ছেন প্রভাবশালী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। জাস্টিজ অব দ্য পিচ ফৌজদারী কার্যবিধির ২৫ ধারায় ভোলা-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী সাত যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-৯, কর্ণফুলী-১০, কর্ণফুলী-১১, গ্লোরী অব শ্রীনগর, এমভি বালিয়া, এমভি ভোলা ও ক্রিস্টাল ক্রুজের মালিকের বিরুদ্ধে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদি আরো জানান, ভোলা-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন ৪টি করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করার নিয়ম থাকলেও প্রভাবশালী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে প্রতিদিন ২টি করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চালাচ্ছে। এ ছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করে থাকে। এমনকি সাধারণ যাত্রীরা কেবিনের বুকিং দিলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অনেক সময়ে সেই কেবিন অন্যজনকে দিয়ে দেন বলেও বাদী জানান। অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী (এপিপি) সোয়েব হোসেন মামুন, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম সহ প্রায় ৭ আইনজীবী বাদির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং মামলা পরিচালনা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist