এস এম রাসেল, মাদারীপুর

  ২০ নভেম্বর, ২০১৭

অজ্ঞাত ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে দলিল জালিয়াতি

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় নিজাম হাওলাদার মারা গেছেন গত অক্টোবরে। কিন্তু তার মৃত্যুর একমাস পর তারই মেয়ে হালিমা আফরোজ এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পিতা সাজিয়ে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করেছেন। এমনকি প্রথমের দখলের পরিমাণ ১০ শতাংশ দেখান হলেও পরে বাঁচার জন্য তা ১ শতাংশ করা হয়েছে। উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসের মুহরী এসএম সোহেলের মাধ্যমে ও সাবরেজিস্টার কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শর্মিলা আহম্মেদ সম্পা যোগসাজসে তিনি এই জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এলাকা ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার চরবিভাগদী গ্রামের মৃত নেরালউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নিজাম হাওলাদার গত ১৫ অক্টোবর মারা যান। কিন্তু ওই মৃত ব্যক্তির মেয়ে হালিমা আফরোজ দলিলে গৃহিতা হয়ে গত ৯ নভেম্বর উপজেলা সাবরেজিস্টি অফিসে এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে জীবিত পিতা সাজিয়ে বাড়ির ১ শতাংশ জমি দলিল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। মুহরী এসএম সোহেলের সহযোগীতায় ও সাবরেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শর্মিলা আহম্মেদ সম্পার যোগসাজসে ওই মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখান হয়। দলিল জালিয়াতির বিষয়টি হঠাৎ করে এলাকাবাসীর মাঝে ফাঁস হয়ে গেলে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এখানেই শেষ নয়, প্রথমে জমির পরিমাণ ১০ শতাংশ লিখলেও পরে বাঁচার জন্য তা কমিয়ে ১ শতাংশ দেখান হয়েছে।

এদিকে জমি ফেরতের দাবিতে মৃত নিজাম হাওলাদারের বড় ছেলে জাকির হাওলাদার একটি প্রতারণা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই প্রতারণা মাধ্যমে জমির গৃহিতা কন্যা হালিমা আফরোজ এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগে জানা যায়।

মৃত নিজাম হাওলাদারের ছোটভাই ফারুক হাওলাদার বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ার পরে তার মেয়ে হালিমা আফরোজ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভুয়া জীবিত পিতা সাজিয়ে প্রথমে ১০ শতাংশ জমি দলিল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। কিন্তু পরে এ ঘটনা ফাঁস হলে সাবরেজিস্ট্রার অফিস নিজেরা নিরাপদে থাকার জন্য ওই দলিলে ১ শতাংশ জমি দেখিয়েছেন।

অভিযুক্ত মুহরী এসএম সোহেল বলেন, মৃতব্যক্তির মেয়ে গৃহিতা হালিমা আফরোজ যে ভাবে বলেছেন ঠিক আমি সেই ভাবেই দলিল লিখেছি। আমি তো কাউকে চিনি না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত হালিমা আফরোজের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাবরেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শর্মিলা আহম্মেদ সম্পা বলেন, দলিল হওয়ার পরে বিষয়টি আমি জেনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়টির মূল অপরাধী হচ্ছে মুহরী সোহল। তবে আমি এ বিষয় উপজেলা ও জেলা সাবরেজিস্ট্রার কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist