হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
উত্ত্যক্ত করায় মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দুই শিক্ষার্থীর উত্ত্যক্তের কারণে হালিমা আক্তার (১৫) নামে এক মাদরাসাছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হালিমা আক্তার ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় ফজলুল হক বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিরা হলো- একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ইউনুস মিয়া ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, হালিমা আক্তার মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে ইউনুস ও ইকবাল হোসেন পৃথকভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ১২ অক্টোবর ইকবাল প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে হালিমার বাড়িতে যায়। এ ঘটনায় হালিমার বাবা ফজলুল হক ইকবালকে গালমন্দ করে। জবাবে ইকবাল হালিমা এবং তার বাবাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
গত বুধবার হালিমা মাদরাসায় মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ইকবাল হালিমার বাড়ির পশ্চিম পাশে এসে কথা বলার চেষ্টা করে। এ সময় ইউনুস ঘটনাটি দেখে ফেলে। এতে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার আগে ইউনুস দা নিয়ে হালিমার বাড়িতে গিয়ে ঘর-দরজা কুপিয়ে ক্ষতিসাধন ও হালিমা এবং তার বাবাকে গালমন্দ করে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ইকবাল এসেও হালিমাকে গালমন্দ করে।
হালিমার মা রহিমা খাতুন জানান, ইউনুস ঘর-দরজা ভাঙচুর করার পর ইকবাল এসে হালিমাকে পুনরায় গালমন্দ করে। এতে লজ্জা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে বসতঘরের পাশে কাঁঠালগাছের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের বাবা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
"