আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী)

  ২০ অক্টোবর, ২০১৭

তানোরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

রাজশাহীর তানোরে অর্ধশতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরেও এসব ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। আবার এসব ভবনের মধ্যে ২০টি ভবন অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও এসব পরিত্যক্ত ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের তেমন দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এসব ভবন এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, সত্তরের দশকে নির্মিত এসব ভবনের অনেকগুলো প্রায় একযুগ আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আবার অনেক ভবনের অংশবিশেষ, পলেস্তরা খসে পড়ছে, দেখা দিয়েছে ফাটল। জানালা-দরজা চুরি হয়ে গেছে অনেক আগেই। অথচ দীর্ঘদিনেও ভবনগুলো অপসারণে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অপরদিকে, অরক্ষিত থাকায় এসব ভবন মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ল রয়েছে ১২৭টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে ২০টি আর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, মহাদেবপুর, প্রকাশনগর সাতপুকুরিয়া, গুড়ইল, সুকদেবপুর, ময়েনপুর, প্রাণপুর, কলমা হাটবিল্লি, দরগাঁডাঙ্গাসহ আরো বেশ কয়েকটি। বাকিগুলোতে ঝুঁকিপর্ণ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করছে শিক্ষার্থীরা। উপজেলার চিমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি প্রায় একযুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও তা অপসারণে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। এ সুযোগে ভবনটি বহিরাগত ও বখাটেদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। টিফিনের সময় তাদের অগোচরে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদে উঠে খেলা করে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলার বিল্লীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিমুদ্দিন জানান, তাদের বিদ্যালয়ের ভবনটি ফাটল ধরায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। কোনো কোনো সময় স্থানসংকুলান না হওয়ায় খোলা মাঠে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।

উপজেলার নোনাপুকুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক জানান, আমাদের গ্রামের স্কুলটির একাডেমিক ভবন অতিপুরাতন হয়ে পড়েছে। ফাটলও ধরছে। যেকোনো সময় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ খান জানান, উপজেলার ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ভবন অপসারণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বরাবরে প্রাক্কলন মূল্য নির্ধারণের জন্য এক বছর আগেই তালিকা দেওয়া হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে প্রাক্কলনের কাজ শেষ হলে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist