কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী পলাতক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড করালিয়া এলাকার জীবন আরা মঞ্জিলে স্ত্রী জাকিয়া বেগম রোকসানা ও তার লোকজন গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী রহিম উল্যাহ মঞ্জুকে। স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামী মঞ্জুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে স্বামী মঞ্জুর লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে রেখে তার স্ত্রী ও স্ত্রীর স্বজনরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জীবন আরা মঞ্জিলের গার্ড নজরুল ইসলামকে গতকাল বিকেলে পুলিশ আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল মঞ্জুর বাসা থেকে রক্তমাখা একটি কম্বল, একটি দা ও একটি মরিচ বাটা শিল উদ্ধার করে। মঞ্জুর স্বজনরা জানান, এর আগেও তার স্ত্রী রোকসানা তাকে গলাকেটে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। মঞ্জু অনেকদিন পর্যন্ত নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। পুলিশ ও জীবন আরা মঞ্জিলের গার্ড নজরুল জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাড়াটিয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক রহিম উল্যাহ মঞ্জু ও তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম রোকসানা ঝগড়া বিবাধে লিপ্ত হয়। এরপর জাকিয়া বেগম রোকসানা তার ভাই মিলন ও বোনের ছেলেকে সংবাদ দিয়ে ওই বাসায় এনে গভীর রাতে তারা সবাই মিলে রহিম উল্যাহ মঞ্জুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত মঞ্জুর স্ত্রী রোকসানা বসুরহাট খাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ফিজিওথেরাপি সেন্টারে কাজ করেন। নিহত রহিম উল্যাহ মঞ্জু সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহাজাদপুর গ্রামের জুনাহাজি বাড়ির মৃত কোরবান আলীর ছেলে। নিহত মঞ্জুর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। জাকিয়া বেগম রোকসানা কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আলতু সর্দার বাড়ির জায়েদল হকের মেয়ে। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ফজলে রাব্বী জানান, গতকাল বিকেল ৩টায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের বিষয়টি তাকে জানান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তমাখা কম্বল, দা ও মরিচ পেষার শিল উদ্ধার করেন।
"