নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

নবীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল আলমের বিরুদ্ধে এক কোটি ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক প্রতিনিধিসহ গণস্বাক্ষর দিয়ে দমন ও বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন বদরুল আলম (ইলাক উদ্দিন)। তিনি ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই তিনি বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে আসা অর্থ তিনি ব্যাংকে জমা দেননি। সম্পূর্ণ টাকা নিজের পকেটে রেখে খরচ করে পরবর্তী সময়ে ভাউচার বাণিজ্য করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি প্রতিষ্ঠানের খন্ডকালীন শিক্ষকদের সময়মতো বেতন-ভাতা না দেওয়া, ভবিষ্যৎ তহবিলের নিয়মনীতি তার কাছে নেই। তার প্রভাব ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে বিগত দিনে অনেক শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। তিনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও ইনাতগঞ্জ পাঞ্জেরী জুনিয়র হাইস্কুল নামে একটি ব্যক্তিগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। লন্ডন প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার সুবাধে অনেক প্রবাসী বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য মোটা অংকের টাকা অনুদান দিয়ে আসছেন। ওই টাকা প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের লোকদের দুয়েকজন অভিভাবক সদস্যদের নিয়ে নামেমাত্র কাজ দেখিয়ে ভাউচারের মাধ্যমে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময় শূন্যপদে শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের সময় মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ও ফরমপূরণের সময় প্রতি বছরই অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম। এমনকি বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্য নিষিদ্ধ থাকলেও তিনি কমিশন নিয়ে অবাধে কয়েকজন শিক্ষক দ্বারা স্কুলে কোচিং করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক প্রতিনিধি মিলে গণস্বাক্ষর দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দুদকে দাখিল করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম বলেন, যারা অভিযোগ দিয়েছেন, তারা আমার মানহানি করার চেষ্টা করছেন। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ১৯৮২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন মো. আতাউর রহমান। তিনি অবসরে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ে সাত লাখ ৭৯ হাজার টাকা আয় রেখে গেছেন। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের আয় ব্যাংকে রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। প্রতি বছরই কমিটির লোকজন আয়-ব্যয় হিসাব করে পরবর্তী বছরের কাছ শুরু করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist