উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

উলিপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে

বন্যাপরবর্তী আবহাওয়ার পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ

বৈরী আবহাওয়া, গরম, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট ও পরিবেশ দূষণের ফলে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বন্যাউপদ্রুত এলাকায় মৌসুমি জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে নানাবিধ চর্মরোগ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত ২৩ জন ভর্তি হয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, থেতরাই ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের কেরামত আলীর স্ত্রী মোমেনা, কিশোরপুর গ্রামের সুবাহানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, গুনাইগাছ ইউনিয়নের মহিদেব গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে রুহান (১১ মাস), রাজবল্লভ গ্রামের শফিকুলের ছেলে রনি, গুনাইগাছ গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী লাভলী বেগম, দলদলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দলদলিয়া গ্রামের সবুজের মেয়ে সুমাইয়া, তবকপুর ইউনিয়নের তবকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম, আবেদ আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম, উলিপুর পৌরসভার নারিকেলবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মাসুদ রানা, হায়াৎখা গ্রামের নুরুজ্জামানের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা, পৌরসভার হরিশ চন্দ্রের ছেলে হরেকান্ত, জোদ্দারপাড়া গ্রামের কানু সরকারের ছেলে স্বপন সরকারসহ (৩০) ২৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যন্ত এলাকার নিজ বাড়িতে ভুগছেন। উপজেলার বন্যাকবলিত নি¤œাঞ্চল দলদলিয়া, থেতরাই, হাতিয়া, বুড়াবুড়ি, বেগমগঞ্জ, গুনাইগাছ, বজরা ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের আক্রান্ত রোগীদের পাশে স্বাস্থ্যকর্মীরা এখনো পৌঁছেননি বলে জানা গেছে। সেখানে জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখা দিয়েছে মাথা ব্যথা বা মাথা ঝিমঝিম করা, শরীর মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া, খাবারের প্রতি অনীহা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, বন্যাপরবর্তী আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তন ও নদনদীর উপকূলবর্তী এলাকার পরিবেশ দূষণের ফলে এমনটি ঘটছে। ডায়রিয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি বা শরবত পান করতে হবে। নয়তো পানিশূন্যতায় আক্রান্তদের জীবননাশের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এদিকে উপজেলার কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসকরা ডায়রিয়া থেকে মুক্ত হতে শুধু খাবার স্যালাইনকে ব্যবস্থাপত্র হিসেবে লিখলে এ থেকে কমসংখ্যক রোগীরা রেহাই পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর পানিতে গোসলসহ নানা রকম ধোয়ামোছার কাজ করায় এলার্জিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে পানি ব্যবহারে আরো বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম সরদার। তিনি জানান, ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist