ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে কৃষকের নতুন স্বপ্নের চাষ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্যার ক্ষতি মাথায় নিয়ে নতুন করে জমিতে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মৌসুমি ফসল নতুন করে চাষাবাদ শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি আমন ধানের মৌসুমে ১৫ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। জমিতে বেড়ে উঠছিল কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। বাতাসে দোল খায় স্বপ্নের আমন চারাগুলো। কিন্তু আকর্ষিক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয় ২০ হাজার ৪০০ কৃষকের ৫ হাজার ২০০ হেক্টর ফসলের ক্ষেত। এর মধ্যে চার হাজার ৪২০ হেক্টর জমির চাষাবাদ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এবারের বন্যায় ধুনট উপজেলায় কৃষকের প্রায় ৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বন্যার ক্ষতিতে বিশেষ করে প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা বিপাকে পড়েছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের স্বপ্ন দগ্ধ হয়ে জমিতে ফুটে উঠেছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায়। এ জন্য বন্যার ক্ষতচিহ্নের বুকে চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষক। চাষাবাদের উপযোগী করা হচ্ছে জমি। কোথাও কোথাও নতুন করে জমিতে স্বপ্ন বুনছেন ক্ষতিগ্রস্তরা কৃষকরা। সরকারি হিসাবে প্রায় চার হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আবারো ধান চাষ করা হবে। রামনগর গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আকস্মিক বন্যার পানিতে ধানক্ষেতের ক্ষতিসাধন হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় জমি নতুন করে চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
একই গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ধানের চারা সংকট রয়েছে। নতুন করে চাষাবাদে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কৃষকরা চাষাবাদে সরকারি সহায়তা কামনা করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যায় কৃষকের ফসলের ক্ষতিসাধন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে বীজ-সার সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা হবে।
"