পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
পাঁচবিবির মোকন্দপুরে ডায়রিয়া মহামারী
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের মোকন্দপুর গ্রামে ডায়রিয়া মহামারী রূপ নিয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসার অভাবে বাড়িতেই পড়ে আছেন হতদরিদ্র ফরহাদ, আয়েন উদ্দিন, ফাতেমা, রিনাসহ অনেকেই। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি নিতে অনাগ্রহ দেখান কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় তাদের একমাত্র উপায়। সচেতনতামূলক কোনো কর্মসূচি নেই। অপরিচ্ছনতাকে দোষ দিয়েই খালাস স্বাস্থ্য বিভাগ। ডায়রিয়া মহামারীর খবর পেয়ে গতকাল শনিবার মোকন্দপুর গ্রামে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর ইসলাম ও উপস্থিত গ্রামবাসী একযোগে এ তথ্য জানান।
তারা আরো বলেন, আগস্টের শেষে বন্যা নেমে যাওয়া ও ঈদুল আজহার পরপরই মোকন্দপুর গ্রামে ডায়রিয়া মহামারী রূপ নেয়। গ্রামের সুলতান, অজিতা, আজাহার, রাজিয়া, আব্দুস সাত্তার, সাহেরা, ফজলুল করিম, নাজমা, রিনা, ফরহাদ, আয়েন উদ্দিন, ফাতেমাসহ ৫০ থেকে ৬০ জন আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে মৃত খেদমত আলীর ছেলে আজাহার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফৈমিয়ার পুত্র ফজলুল করিম হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো ভর্তি আছেন। যারা হাসপাতাল থেকে ফেরত এসেছেন তাদের অবস্থার এখনো উন্নতি হয়নি। স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ প্রোবাইডার স্যালাইন ও ট্যাবলেট দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করছেন। ইউপি সদস্য আমিনুর ইসলাম আমু বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনায় আক্রান্ত রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির জন্য গাড়িভাড়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আব্দুর রহিমের স্ত্রী রাজিয়াকে গত কয়েকদিন আগে মধ্যরাতে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভর্তি নিতে অনীহা দেখায় কর্তৃপক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ আলাউদ্দিন বলেন, পানিবাহিত জীবাণু ও অপরিচ্ছন্নতাকে কারণে ওই এলাকায় ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। গত ১২ তারিখে সিভিল সার্জন অফিস থেকে একটি স্বাস্থ্য টিম এলাকায় গিয়েছিল, তার সঙ্গে আমি ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম ছিলাম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহিদের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, তাদের সচেতনতার অভাবে এলাকায় ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। আমি সচেতন করার জন্য এলাকায় লিফলেট দিয়েছি এবং একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা সে এলাকায় সর্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
"