প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাড়ছে দুর্ভোগ
ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়ায় গতকাল
বুধবার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ভোগ। বানভাসি পরিবারের মধ্যে খাদ্য, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করছে। কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ পৌঁছলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আমাদের প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
সিরাজগঞ্জ : যমুনার পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলার নি¤œাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এদিকে উল্লাপাড়ায় গতকাল বিকেলে বন্যার পানিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশু ফাহিম মারা গেছে। সে বাখুয়া মিলপাড়া গ্রামের আলামিনের ছেলে। জানা গেছে, বিকেলে সবার অজান্তে বাড়ীর সামনে বন্যার পানিতে প্লাবিত মাঠে পরে মারা গেছে। অনেক খোজাখুঁজির পর সন্ধায় তার মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সকাল ৯টায় বিপদ সীমার ১৪৮ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায়, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী হাসান ইমাম। যমুনার পানি বৃদ্ধিতে চৌহালী বাঁধ ও কাজিপুরে ব্যাপকভাবে ধস দেখা দিয়েছে। এছাড়াও এনায়েতপুর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ৪ হাজার ৮৩৭ হেক্টর আবাদী জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে বলে জানায়, জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আরশেদ আলী। জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রথম বন্যায় ৩৭৩ মে. টন চাউল ও ৯ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান। এখনও পর্যাপ্ত পরিমার ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য একাধিক মেডিক্যাল টিমও কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. শেখ মো. মঞ্জুর আলম।
জামালপুর : জামালপুরে বন্যার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতিহাসের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জেলায় ৭টি উপজেলা এখন পানির নিচে। ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদর সহ পুরো জেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্ধি রয়েছে। উপায় খুজে না পেয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে উচু জমি বা উচু শিহ্মা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট। রেললাইন ডুবে যাওয়ায় জামালপুরের সাথে দেওয়ানগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও সরিষাবাড়ি-ঢাকা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজপাঠক আব্দুল মান্নান জানান, জামালপুরে বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের আটবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আজিবর মোল্লা এবং মেলান্দহ পৌর এলাকার নাগেরপাড় গ্রামের জিল্লুর রহমান ও নলবাড়িয়া গ্রামের মো. সজিবসহ তিনজন বুধবার বিকালে বানের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে নদ-নদীগুলোর পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ঠিকই। তবে বন্যার্ত লোকজনের দুর্ভোগ তার চেয়ে বেশী বেড়ে গেছে। চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সেনা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। রেলপথ ভেঙ্গে যাওয়ায় সারাদেশের সাথে লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার রাতে আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত খুটামারী এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে নুরুল ইসলাম মুন্সি নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুর : দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি আরো উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। গতকাল বুধবারের মধ্যেই শহর ও গ্রামাঞ্চলের পানি নিচে নেমে যাবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। পূর্ণভবা ছাড়া সব নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যার পানিতে নিখোজ হওয়া ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চিরিরবন্দরে মারা গেছে আরো ৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২২ এ দাড়িয়েছে। তবে বেসরকারী হিসেবে মৃতের সংখ্যা ২৬ বলে জানা গেছে। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, দিনাজপুর পূর্ণভবা নদীর বিপদসীমা ৩৩.৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবারের মধ্যেই শহর ও গ্রামাঞ্চলের পানি সম্পূর্ণ নিচে নেমে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
বগুড়া : বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় তিন উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠছে। বগুড়ায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার ১২১টি গ্রামে পানিতে তলিয়ে গেছে। গতকাল বুধবার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে তিনটি উপজেলার সাড়ে ২৮ হাজার পরিবারসহ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে সোয়া লাখ মানুষ। পানির চাপ বৃদ্ধির কারণে ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় বেড়ি বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু অংশে পানি চুয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা বাঁধ রক্ষায় মাটি, বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে বাধ রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শাহারুল ইসলাম মোঃ আবু হেনা জানান, বুধবার পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ২৪৪ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। তিন উপজেলার ১২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৯৮ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৮৫ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও ৬ হাজার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বুধবার বেড়ে ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ১৮ টি গ্রামের মাঠের ৭ হাজার ৬৫০ বিঘা (১০২০ হেক্টর) জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারি বৃষ্টি, উজানের ঢলে বন্যার পানি নাগর নদী ভরে উঠায় এলাকায় পানি ঢুকে এ ধান নিমজ্জিত হয়েছে বলে কৃষকের অভিযোগ। এই সব এলাকায় উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মশিদুল হক পরিদর্শন করেছেন। অব্যাহত ভাবে পানি বাড়ায় নদী পাড়ের মানুষজন রয়েছে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠায়।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যানুযায়ি সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪২টি ইউনিয়ন এবং গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পানিতে ডুবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তালুককানুপুর গ্রামের রিয়ামনি নামে আড়াই বছরের এক শিশু মারা গেছে। সে ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। এদিকে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের ডেভিড কোম্পানীপাড়া, বাহারবন, চকমামরোজপুর, কাজলঢোপের ৮টি পয়েন্ট একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, এবারের বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য এ পর্যন্ত ৫শ’ মে. টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১শ’ ৫০ মে.টন চাল ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বুধবার নৌকাযোগে হলদিয়া, সাঘাটাসহ ৫টি ইউনিয়নের পানিবন্দি এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণসামগ্রী (শুকনা খাবার) বিতরণ করেছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়ারেছ আলী প্রধান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম সামশীল আরেফিন টিটু, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম মুজাহিদুল ইসলাম বকুল, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তরিকুল ইসলাম তারেক, লুৎফর রহমান, জহুরুল ইসলাম, হুমায়ুন রশিদ রনজু প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ : যমুনা নদীতে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচাঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল পর্যন্ত এই পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন এবং প্লাবিত হয়েছে নি¤œাঞ্চলের ফসলি জমিসহ নতুন নতুন এলাকা। রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে ও ডুবে গিয়ে এসব এলাকার হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাড়ি-ঘর ডুবে নি¤œাঞ্চলের বিশুদ্ধ পানির অভাবে পড়েছে অনেক পরিববার। স্থানীয় কৃষকেরা ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
শিবালয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার (জিআর) মো. ফারুক হোসেন জানান, যমুনা নদীর এ পয়েন্টে গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে গত দুই দিন ধরে স্কুল ও উঁচু নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়া বন্যা দুর্গতরা বরাদ্দকৃত ত্রান সামগ্রি এখন পর্যন্ত পায়নি। অথচ পিআইও বলছেন তিনটি ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। অন্য দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করণের কাজ চলছে। রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মোবাইল ফোনে জানান, সোমবার বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩ মেট্রিকটন চাল কাশিমপুর, গোনা ও মিরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৭ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে।
আত্রাই (নওগাঁ) : নওগাঁর আত্রাইয়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। আত্রাই নদীতে গত দু’দিনে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আত্রাই উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ছে রাস্তাঘাট। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ। পানিবন্ধি লোকজন গরু, বাছুর সরিয়ে নিয়ে উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
ইতিমধ্যে আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙা ৫টি স্থান দিয়ে পানি ঢুকে আবারও ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে বন্যা দেখা দেওয়ায় এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। গতকাল সকালের তথ্য অনুসারে উপজেলার আরো নতুন ২০টি গ্রাম বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম কাওসার হোসেন বলেন, আত্রাই নদীর বেলী ব্রীজ পয়েন্ট পানি বিপদসীমার ৭০ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন প্রাথমিকভাবে ২ হাজার ৯৫ হেক্টর জমির আউশ ও আমন ধানসহ সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে মুন্দারীছরার বেড়ি বাঁেধ ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে পৌরসভার চন্দ্রপুর ও মিরেরখীল এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। ঢলের তোড়ে বেড়ি বাঁেধর ভাঙ্গন দিয়ে পানি ঢুকে নজব আলী সড়ককে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়কের মিরেরহাট হতে সড়কটি পশ্চিম দিকে চন্দ্রপুর, পশ্চিম আলমপুর,খীল পাড়া,আদর্শ গ্রাম,দুগ্ধখামার এলাকায় যাতায়তের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন ছাড়া ও শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। ঢলের তোড়ে সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ায় জন ও গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের অংশে এলাকাবাসী খুটি দিয়ে পলিথিন ও কাপড় গেথে দিয়েছে।
"