চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

  ১৪ আগস্ট, ২০১৭

ছাদ ধসের আশঙ্কা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। শুধু তাই নয় শ্রেণিকক্ষের অভাবে স্কুলের বারান্দায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করছেন। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। দুটি কক্ষে ও একটি সিড়ি ঘরে গাদাগাদি করে কোনমতে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ের ভবন দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ে। জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় স্কুলের পাশে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি গরুর খামার করেছেন। গোবরের গন্ধে শিশু শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

জানা গেছে, স্কুলটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এলজিইডির অর্থায়নে ১৯৯৯-২০০০ সালে ভবনটি পুনঃনির্মাণ হয়। ২০১৩ সালে সরকারীকরণ হওয়া স্কুলটিতে ১২৭ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে শিক্ষা গ্রহণ করছে। শ্রেণী কক্ষের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের মেঝেতে বসিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। সম্প্রতি টানা বর্ষণের ফলে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদে পানি জমে স্যাঁত স্যাঁতে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ছাদ ও দেয়ালের বিভিন্ন অংশ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। স্কুলের বেশিরভাগ জায়গাজুড়েই পানি জমে আছে। ছাদ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। যে কোন মূহুর্তে ছাদ ধসে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে অভিভাবকরা।

বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, স্কুল ভবনটি বেশ পুরনো, শ্রেণীকক্ষের অভাব রয়েছে। স্কুলের সীমানায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। গোবরের গন্ধে ছেলে-মেয়েদের ক্লাস করতে সমস্যা হয়। ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হয় ছেলে-মেয়েদের।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. কামরুন্নাহার বলেন, শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীদের মেঝেতে বসিয়ে ক্লাস করানো হয়। গরুর খামারের কারণে সবসময় জানালা বন্ধ রাখতে হয়। এ ব্যাপারে গরুর খামারের মালিককে বলেও কোন লাভ হয়নি। তিনি আরও বলেন, স্কুল বিল্ডিং সংস্কার কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। বৃষ্টির কারণে ঠিকাদার সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারেন নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আ. ছালাম জানান, ‘সবগুলো বিষয় সমাধান যোগ্য। উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে যারা আছেন তারা উদ্যোগ নিলেই সমাধান সম্ভব’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist