রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
রাঙ্গাবালীতে পাঁচ ঘাটে নেই পন্টুন
লঞ্চ ভেড়ে চরে, কাদা মাড়িয়ে যায় যাত্রী
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে পাঁচ লঞ্চঘাটের কোনোটিতেই নেই যাত্রী ওঠা-নামার পন্টুুন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। কখনো কখনো ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড়বাইশদিয়ার গাইয়াপাড়া, টুঙ্গিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া, বারো নম্বর ডিগ্রিসহ অন্তত ৫টি ঘাটে লঞ্চ যাতায়াত করে। কিন্তু কোনো ঘাটে টার্মিনাল না থাকায় লঞ্চগুলো পানির মধ্যে ভেড়ে। এসব কারণে ভোগান্তিতে পরে যাত্রীরা। প্রতিদিন ৩টি যাত্রীবাহী একতলা লঞ্চ মৌডুবীর নিজকাটা থেকে ছেড়ে গলাচিপা ও কলাপাড়া যাতায়াত করে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নদীতে যখন ভাটা থাকে তখন হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। আবার যখন জোয়ার আসে তখন কোমর সমান পানিতে নেমে লঞ্চে উঠতে হয় যাত্রীদের। এ সময় বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোরদের লঞ্চে উঠতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিকল্প কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন এমন দুর্ভোগের মধ্যেই যাতায়াত করতে হয় এখানকার লোকজনের। রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের নিজকাটা এলাকার এম রহমান রানা জানান, ঘাটে টার্মিনাল না থাকায় বাধ্য হয়ে নদীর চরে লঞ্চ ভেড়াতে হয়। ফলে যাত্রীদের ওঠানামায় কোনো সহায়তা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এসব ঘাটগুলোয় টার্মিনাল দেওয়া হলে, যাত্রীদের দুর্ভোগ এড়ানো সম্ভব। অবিলম্বে এসব ঘাটগুলোর দিকে সদয় দৃষ্টি দেয়া একান্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, বড়বাইশদিয়ার এসব এলাকায় পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ হয়। এসব এলাকায় পন্টুন দরকার।
"