দুলাল বিশ্বাস গোপালগঞ্জ
ফুটেছে কদমফুল, গন্ধে ম-ম চারদিক
শ্রাবণের অবিরাম বৃষ্টির ধারায় প্রকৃতি ও মানব মনে রয়েছে এক নিবিড় যোগসূত্র। কদমফুল বর্ষার আগমনী দূত। এ সময় গাছে গাছে কদম ফুল ফোটার দৃশ্য প্রকৃতিকে করেছে আরো মনোরম। বর্ষা মানেই গুচ্ছ গুচ্ছ কদমফুলের সুবাস। বর্ষা মানে কদমফুলের মতোই তুলতুলে নরম বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দের ধ্বনি। কদমই যেন বর্ষার বিশ্বস্ত আগমনী বার্তা। প্রকৃতি কাব্যময় এই ঋতু হয়েছে আষাঢ়ের প্রথম দিকে। শ্রাবণের শেষ দিকে এসে চারদিকে কদমের ফুটন্ত সৌন্দর্য যেন প্রতিটি নর-নারীর মনে যেন কি এক অজানা স্বপ্ন দোলা দিয়ে যায়। কদম ফুলের সঙ্গে বর্ষা হয়ে ওঠে এক মিলনের ঋতু। আবহমান বাংলায় বর্ষার আগমন নতুনত্বের সাড়া জাগায় প্রাণের প্রস্ফুটনে বিমুগ্ধ জলাধারে।
গোপালগঞ্জ সরকারি শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহ-পরিচালক ডা. অমৃত লাল বিশ্বাস বলেন, কৃমি ও ব্যথা সারাতে কদমের ব্যবহার রয়েছে অনেক আগে থেকে। পায়ের তালু জ্বলা, ব্রণ সৃষ্ট ক্ষত ও গ্রন্থি স্ফীতি ইত্যাদি রোগ কদমের ব্যবহারে নির্মূল করা সম্ভব। একশিরা রোগে কদমের ছাল কেটে বর্ধিত স্থানে কদমপাতা দিয়ে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। শিশুদের মুখের ঘা সারাতে কদমপাতার সিদ্ধ জল খুবই উপকারী। এ ছাড়াও কদমের বাকল জ্বরে উপকারী। পাতা দিয়ে ছুলির ওষুধ হিসেবে ব্যবহার্য। আবার ছাল ও পাতা ব্যথানাশক। গোপালগঞ্জের গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ফুটেছে কদমফুল। কদমফুলের সৌন্দর্যে মেতেছে শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধসহ সব শ্রেণির মানুষ। রাস্তাঘাটের পাশে গাছে গাছে কদমফুল ফোটার দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছে সৌন্দর্যপিপাসু জনতা।
"