উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
জমেনি গ্যাস লাইন পশুর হাট গরু নিয়ে ফেরত গেছে বিক্রেতারা
ঈদুল আযহার বাকি আছে আর মাত্র ২০ দিন। উল্লাপাড়ার সাধারণ গৃহস্থ ও খামারিরা এখন গরু মোটাতাজাকরণে এ মুহূর্তে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। এদিকে সিরাজগঞ্জে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার সরকারি ইজারা মূল্যের গ্যাস লাইন পশুহাট তেমন জমে উঠেনি। গতকাল শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি গরু ব্যবসায়িরা এ হাটে আসেননি। গরুর আমদানি অনুযায়ী বিক্রির সংখ্যা ছিল খুবই কম। বেশির ভাগ বিক্রেতাকে সন্ধ্যার আগেই গরু নিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা গেছে। হাটের গতকালের অবস্থা বিবেচনা করে লোকশানের আশঙ্কা করছেন হাট ইজারাদার।
এদিকে মওসুমি গরু ব্যবসায়ীরা চালান (মুলধন) জোগাড়ে বিভিন্ন এনজিও ও সুদ ব্যবসায়ীদের কাছে যাচ্ছে। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামেই কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে বিপুল সংখ্যক দেশীয় জাতের ষাড় গরু পালন করা হচ্ছে। গ্রামগুলোর সাধারণ গৃহস্থেরা দু’একটি করে গরু পালন করছে। এদের কেউ কেউ তিন চারটি করে গরু লালন পালন করছে। নি¤œ মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার বিভিন্ন এনজিও’র কাছ থেকে টাকা নিয়ে গরু কিনে পালন করছে। উল্লাপাড়ায় বড় ছোট মিলে প্রায় এক হাজার গো খামার আছে। এসব খামারে পালিত বেশির ভাগ গরু দেশিয় জাতের বলে জানা গেছে। গৃহস্থ ও খামারিরা ষাড় গরুগুলো আরো মোটা তাজাকরণে পুরোদমে পরিচর্যা করছে। বেশি পরিমাণে খাবার যোগান দেওয়া হচ্ছে। গরুগুলোকে খইল, ভূষি, ভূট্টার গুড়াসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর জাতীয় খাদ্য খাওয়ানো হচ্ছে। এসব খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ঔষধ খাবারে মিশিয়ে কিংবা ইনজেকশনও দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, গো-খাদ্যের চড়া মূল্যের কারণে গরু লালন পালনে খরচ বেশি পড়ছে। শেষমেশ লাভ হবে কিনা অনেকেই তা ভাবছে। উল্লাপাড়া পশু সম্পদ বিভাগ থেকে গরু মোটা তাজাকরণে ক্ষতিকর ষ্ট্ররয়েড ব্যবহার না করার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্নভাবে গরু পালনকারীদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছে বলে জানানো হয়।
কোরবানী ঈদ সামনে রেখে মওসুমি গরু ব্যবসায়ীরা এলাকার হাটগুলো থেকে গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকে। এদের বেশি ভাগরই অভিজ্ঞতা আছে তবে মূলধন নেই। যাদের নেই তারা মূলধন যোগাড়ে সুদ ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন এনজিও’র কাছে সুদে টাকা নিতে ধর্না দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় গরু এনে উল্লাপাড়ার স্থানীয় হাটগুলোয় বিক্রি করছে। উল্লাপাড়া গ্যাসলাইন পশুহাট, বোয়ালিয়া ও বড়হর পশুহাটে সবচেয়ে বেশি পরিমান ভারতীয় গরু উঠছে। এসব গরু বৈধ ও অবৈধ দু’ভাবেই আসছে বলে জানা যায়।
"